সদস্যাতা অভিযানে নজির গড়ল বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য জুড়ে মাত্র ২১ দিনে ৫০ লক্ষ নতুন সদস্যপদ তৈরি করল বিজেপি। ২০১৮ সাল অবধি বিজেপির মোট সদস্যপদ ছিল ৪১ লক্ষ। সেখানে এবার মাত্র ২০ দিনেই ৫০ লক্ষ্যের বেশী সদস্যপদ ছাড়িয়ে গেল। ৬ জুলাই বিজেপির সদস্যপদ অভিযান শুরু হয়েছিল। এই কর্মসূচি শেষ হবে ১২ আগস্ট। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যে ১ কোটি সদস্য তৈরি করার টার্গেট দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। সেই টার্গেট পূরণ করতে বিজেপির নেতা থেকে সাধারণ কর্মীরা, সকলেই আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে। তবে বিজেপির খাতায় কলমে আগে যে সদস্য সংখ্যা ছিল। তা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসন পাওয়ার পর একধাক্কায় বিজেপির সব জেলাতেই সদস্য সংখ্যা এক ধাক্কায় দ্বিগুন বা কোনও কোনও জেলায় তিনগুন হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, সব থেকে বেশী বিজেপির সদস্যপদ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে। কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি জেলায় সব থেকে বেশী সদস্যতা গ্রহণ হচ্ছে। আর দক্ষিণবঙ্গের জেলা হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা জেলাতে উত্তরবঙ্গের তুলনায় কিছুটা কম সদস্যাতা তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, বিজেপির ৫০ লক্ষ সদস্যপদ এর মধ্যে যুব মোর্চার ২ লক্ষ সদস্য পদ হয়েছে। মহিলা মোর্চা ৫০ হাজার, সংখ্যালঘু মোর্চার ৮০ হাজার সদস্যতা তৈরি হয়েছে।
এবার কোন প্রক্রিয়ায় বিজেপির নতুন সদস্য হতে পারবেন?
৮৯৮০৮০৮০৮০ এই নম্বরে মিস কল দেওয়ার পর একটি ফর্মও ফিলাপ করতে হচ্ছে। প্রথমে মিস কল দিলেই একটি আইডির নম্বর পাওয়া যায়। সেই আইডি নম্বর ফর্মে লিখতে হবে। তেমনই মোদী অ্যাপের মাধ্যমে বিজেপির সদস্য পদ নেওয়া যায়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই বিশেষ একটি ফর্ম ফিলাপ করতেই হবে।
বিজেপির প্রতিটি কার্যকর্তাকে কমপক্ষে ২৫ জন সদস্য করতেই হবে। আর ১০০ জন সদস্য না করলে বিজেপির কার্যকর্তারা সক্রিয়া সদস্য হতে পারবে না। বিজেপির রাজ্য সভপতি দিলীপ ঘোষ থেকে সাধারণ কার্যকর্তাকে বাড়ি ছেড়ে ৭ দিন জেলায় জেলায় সদস্যতা অভিযানের জন্য কাজ করতে হবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ বলেন, ” সব জেলাতে বিজেপির সদস্যতা হওয়ার জন্য এত ফর্মের চাহিদা। আমরা ফর্ম দিয়ে যোগাতে পারছি না। তবে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে সব জায়গাতেই বিজেপির সদস্যতার চাহিদা আছে। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ যে ১ কোটি সদস্যতা অভিযানের টার্গেট দিয়েছিলেন। সেই টার্গেট খুব শীঘ্রই পূরন হবে।” এ প্রসঙ্গে বিজেপির সম্পাদক ও সদস্যতা অভিযানের কো-কনভেনার তুষার ঘোষের বক্তব্য, “প্রতি জেলা থেকে আসা সদস্যতার তথ্য রাজ্য আইটি সেলে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। তবে বিজেপির সদস্যতার জন্য এত চাহিদা জেলায় জেলায় আমরা ফর্ম দিয়ে শেষ করতে পারছি না। দিল্লি থেকেও আমাদের রাজ্যের সদস্যাতার নজর রাখা হচ্ছে।”