রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীন ফের নির্বাচনী আধিকারিকদের সরাল কমিশন। এবার সরানো হল তিন জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে। দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানের নির্বাচনী আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপসারিত ওই তিন জনকে দিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজ করানো যাবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে তিন নির্বাচনী আধিকারিকের জায়হায় আসা নতুন তিনজনকে কাজে যোগ দিতে হবে। নতুনরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে তিন দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখনও পাঁচ দফার নির্বাচন বাকি। চতুর্থ দফার ভোটের আগেই ফের তৎপরতা কমিশনের। সরানো হল দক্ষিণ দিনাজপুরের নির্বাচনী আধিকারিক নিখিল নির্মলকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে এলেন সি মুরুগান। অপসারিত করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের নির্বাচনী আধিকারিক এনাউর রহমানকেও।
তাঁর জায়গায় জেলার নতুন নির্বাচনী আধিকারিক হচ্ছেন শিল্পা গৌরিসারিয়া। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক হলেন অনুরাগ শ্রীবাস্তব। এর আগে পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি সেই দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে এই তিনজনকে সরিয়ে নতুন তিনজনকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ কমিশনের। রাজ্য সরকারকে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, অপসারিত ওই তিন জনকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজ করানো যাবে না।
দিন কয়েক আগেই একসঙ্গে কলকাতার ৮ রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় কমিশন। সরানো হয় জোড়াসাঁকো, কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, এন্টালি, চৌরঙ্গী, শ্যামপুকুর, কাশীপুর-বেলগাছিয়া, বেলেঘাটার রিটার্নিং অফিসারকে। তারও কয়েক দিন আগে সরানো হয়েছে বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসারকে। সব মিলিয়ে রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীন মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই মোট ১২ জন রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন।
এককথায় ভোটের বাংলায় ফের এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ কমিশনের। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি, কলকাতার এই আট রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। ওই আট জনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এবার নির্বাচন কমিশনের কাছেও কলকাতার ওই আট রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ খতিয়ে দেখেই দ্রুত পদক্ষেপ করল কমিশন। রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীনই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই আট নির্বাচনী আধিকারিককে। একইভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর ও দুই বর্ধমানের নির্বাচনী আধিকারিকের নামেও কমিশনে নালিশ জমা পড়ে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরেই পদক্ষেপ কমিশনের।