এ বার স্বপ্নাদেশে কুঞ্জ ফুলের মালা পড়ে রথে চড়লেন শ্রীকৃষ্ণ, বর্ধমানের চিন্তামণিপুরে

শ্রীকৃষ্ণের বালগোপাল মূর্তি নিজেই মন্দির থেকে বেরিয়ে রথে চড়ে বসেছেন। এমনই নাকি স্বপ্ন দেখেছেন গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা রায়। গতকাল রাতে। ভোর হতেই তাই হইহই। এত দিন রথ বার হয়নি তো কী হয়েছে, ভগবান নিজে যখন স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তখন কিছু একটা তো করতেই হয়।

স্বপ্নে গ্রামের সমস্ত মানুষকে রথের রশি স্পর্শ করারও আদেশ মিলেছে। অহংকারী কেউ একা রথ টানার চেষ্টা করলে তিনি পর্বতের মতো ভারী হয়ে যাবেন।

এমন ‘অলৌকিক’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রথের দিন সরগরম পূর্ব বর্ধমানের চিন্তামণিপুর গ্রাম। রথযাত্রার দিন সকাল সকালই খবর ছড়িয়ে পড়ল আশেপাশের গ্রামে। লোকজন ভিড় জমালেন চিন্তামণিপুরের পাঁচশো বছরের পুরনো গোপীনাথের মন্দিরে। গ্রামের এই প্রাচীন মন্দিরে এতদিন গোপীনাথের নিত্যপুজা হলেও রথের প্রচলন ছিল না। ৫০০ বছরের পুরনো কাঠের মূর্তি পুজো করা হয় প্রতিদিন।

এ বার স্বপ্নাদেশে কুঞ্জ ফুলের মালা পরে রথে চড়লেন শ্রীকৃষ্ণ। অলৌকিক ঘটনা হোক বা যুক্তিহীন বিশ্বাস, রথযাত্রা জমে উঠেছে চিন্তামণিপুর গ্রামে। রথের রশিতে টান দিয়ে পুণ্য অর্জনের ভিড়। বিশ্বাসী অবিশ্বাসী যারাই আসছেন, রথ দেখছেন, খেয়ে যাচ্ছেন পুজোর প্রসাদ।

মন্দিরের সেবাইত শ্যামসুন্দর রায় বলেন, “আমাদের মন্দিরে পাঁচশো বছর ধরে গোপীনাথের পুজো হলেও রথ কখনও বের হয়নি। এ বার যখন ভগবান নিজেই রথে চড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, তখন আর আমরা মুখ ফিরিয়ে থাকি কী করে?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.