মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার! কেস না নিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি পুলিশের

মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ধূপগুড়ির ঘটনা। অভিযোগ, থানায় এফআইআর করতে গেলে পুলিশ ‘দোষী’ তৃণমূল নেতাকে না ধরে নির্যাতিতার পরিবারের উপর চাপ দিচ্ছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক তৃণমূল নেতা।

ঘটনার সূত্রপাত ৩০ আগস্ট। ধূপগুড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে নির্যাতিতা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক।

অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানোর পর এতদিন কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে, পুলিশ নির্যাতিতার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে।

এই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘বাড়ি থেকে আসামীকে তুলছে না। চুপচাপ আছে। আমাদের যে লোক প্রতিবাদ করছে ওদেরকে চাপ দিচ্ছে। পুলিশ এই কাজ করছে।’ নির্যাতিতার প্রতিবেশী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের উপর চাপ দিচ্ছে। আসামীকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’ আর এক প্রতিবেশী জানান, ‘আমাদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আইসি ধমক দিয়ে বলছে তোরা টাকা খেয়েছিস। এমন কেসে ফাঁসাবো না।’

এ দিকে, সরাসরি ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন নির্যাতিতার বাবা ও প্রতিবেশীরা। এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন সুজয় তুঙ্গা। সুজয় একসময় ভক্তিনগর থানার আইসি ছিলেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে জমি কেলেঙ্কারিতে ক্লোজ করা হয়। এরপর ধূপগুড়ি থানায় আসেন সুজয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.