পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে পর্যন্ত জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনলেই রেগে আগুন হয়ে যেতেন, এইরকম একটা ছবি দেখা যাচ্ছিল, সেখানে হাওড়ার রামরাজাতলার রাম রাজা ঠাকুর বিসর্জনের দিন নবান্নের মাত্র দুই কিলোমিটারের মধ্যে “জয় শ্রী রাম” ধ্বনিতে আকাশ বাতাস উদ্বেলিত করে বিসর্জনের পথে এগিয়ে চলল প্রতিমা। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছেড়ে শাসক দলের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীরা ‘জয়তু শ্রী রামচন্দ্র’, ব্যানার লাগিয়ে ভোটের রাজনীতির আঙিনায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন সেই শোভাযাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে।
মাননীয়ার কথা অনুসারে বাঙালিরা রামের পূজার সঙ্গে জড়িত নন। কিন্তু ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের কিছু আগে থাকতে অযোধ্যা রাম চৌধুরীর হাত ধরে শুরু হওয়া এই রামরাজাতলার রাম ঠাকুর পুজো অন্য ইতিহাস বলে। এই রাম ঠাকুরের বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এ এক অদ্ভুত মূর্ছনা দেখা গেল। বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন গুলোর পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসাবে শাসকগোষ্ঠী টিএমসি এবং বিরোধী গোষ্ঠী ভারতীয় জনতা পার্টি সমানতালে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী মানুষজনের সেবায় ব্রতী হলেন, বিভিন্ন জায়গায় জল ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে।
সুমিত