যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ‘নিগ্রহের’ প্রতিবাদে সোমবার মিছিলের ডাক দিয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পাল্টা জমায়েতের ডাক দিয়েছে ছাত্ররা। ছাত্র নেতৃত্বের বক্তব্য, পরিস্থিতি বুঝলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমায়েত রাস্তায় নামিয়ে আনা হবে। ফলে সপ্তাহের শুরুর দিনেই রাজনৈতিক অশান্তির আশঙ্কা মহানগরে।
সকাল এগারোটায় গোলপার্ক থেকে মিছিলের ডাক দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন। এইট বি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত আসার কথা মিছিলের। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা চার নম্বর গেটে সাংস্কৃতিক জমায়েতের ডাক দিয়েছে। সকাল ১০টায় ডাকা হয়েছে জমায়েত। একই সঙ্গে বামকর্মীরাও কাছাকাছি সময়েই এইট বি-র লেনিন মূর্তির সামনে জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
২০১৬ সালে একবার এবিভিপির মিছিল ধেয়ে গিয়েছিল যাদবপুরের দিকে। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার তৎকালীন সভানেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সে বার পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে মানবশৃঙ্খল করে দাঁড়িয়েছিলেন। এ বারও তেমন পরিকল্পনা নিয়েছে ছাত্ররা।
তবে দু’পক্ষের এই জমায়েতের প্রস্তুতি পুলিশ প্রশাসনের সামনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এবিভিপির মিছিল আটকাতে প্রথম ব্যারিকেড করা হবে সেলিমপুর মোড়ে। তারপর আরেকটি ব্যারিকেড থাকবে যাদবপুর থানার সামনে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয় তল্লাট থেকে বেশ কয়েকশো মিটার আগেই আটকে দেওয়া যায়।
বামেদের অনেকে মনে করছেন, শুধু একটা রাস্তা ব্যবহার না-ও করতে পারে গেরুয়া শিবির। সুকান্ত সেতু কিংবা টালিগঞ্জ থেকে গলফগ্রিনের রাস্তা ধরেও এবিভিপি কর্মীরা আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। তাই এইটবি-তে আলাদা জমায়েত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।