কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পর এবার জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কনভয়ে হামলার বিষয়টি নিয়ে নাড্ডার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাজনাথ সিংয়ের। ‘‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে টার্গেট করা খুবই উদ্বেগের বিষয়। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’ টুইটে এদিন এমনই লিখেছেন রাজনাথ সিং।
বৃহস্পতিবার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ডায়মন্ডহারবারে যাচ্ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
নাড্ডার সঙ্গেই অন্য গাড়িতে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অনুপম হাজরারা। শিরাকোলে কনভয় পৌঁছোতেই রাস্তার দুধার থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। জেপি নাড্ডার গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরই মধ্যে পরপর গাড়ির কাচে ধেয়ে আসে ইট, কাচের বোতল।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘আজ, বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি-র কনভয়ে আক্রমণ খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। এই সংগঠিত হামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাদহি করতে হবে।’’
অমিত শাহের পাশাপাশি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে সরব প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে টার্গেট করা খুবই উদ্বেগের বিষয়। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন’’।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, মা দুর্গার কৃপায় এখানে পৌঁছতে পেরেছি। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী প্রচেষ্টার কোনও ক্রটি রাখেনি।
তিনি মনে করিয়ে দেন, খুব শীঘ্রই এই জঙ্গলরাজ শেষ হতে চলেছে। একের পর গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে। এই গুন্ডারাজ শেষ করতে হবে। গণতন্ত্রের মাধ্যমে এই গুন্ডারাজ শেষ করবে বিজেপি।
নাড্ডা যোগ করেন, ‘আজ বাংলার অবনমন হয়েছে মমতার শাসনে। বিজেপি ফের সোনার বাংলা তৈরি করবে। বাংলা সভ্যতা-সংস্কৃতির জননী। সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে মমতার শাসন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন কটাক্ষ করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, এখানকার সাংসদকে সংসদে দেখা যায় না। পুলিশ প্রশাসনের রাজনীতিকরণ শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে রাজ্যে ঘোরা সমস্যা।’