অস্বস্তি থেকে সাময়িক মুক্তি। হ্যাঁ, বুধবার রাতের ঝড় বৃষ্টি এর চেয়ে বেশী কিছু নয়। আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি হয়ও তাহলেও অস্বস্তিজনক পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা বেশী। অর্থাৎ বৃষ্টির রেশ যতক্ষন থাকবে ততক্ষনই স্বস্তি।
মূলত কলকাতার ও তার আশেপাশের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে। তবে মূল অস্বস্তির কারন অতিরিক্ত আর্দ্রতা। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। ২৮ ডিগ্রি থেকে নেমে হয়েছে ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। বুধবার রাতে কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ১৭.৫ মিলিমিটার। তারপরেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ সর্বনিম্ন ৬২ শতাংশ। বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ , সর্বনিম্ন ৫২ শতাংশ। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.০ ডিগ্রি সেলসসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ , সর্বনিম্ন ৫৯ শতাংশ ছিল। তাই গরম ঠিক কতটা ছিল, এই পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট।
তবে এসবই সাময়িক। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, “রাজস্থান থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার জায়গা রয়েছে। ফলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে পারে। সেটাই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি দিতে পারে। সেই সম্ভাবনাই কলকাতায় উপরেও থাকছে।” কিন্তু বৃষ্টি বন্ধ হলে উত্তর ভারতের গরম হাওয়া পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশ করবে । ফলে ফের গরম বাড়বে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের , শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি থাকবে। তবে তাতে স্বস্তি মেলার সম্ভাবনা কম। সপ্তাহের শেষে ৩৮-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিরে ফের পারদ চড়ে পারে ৪১-৪২ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা পৌঁছবে। চলতি মরসুমে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।