অফিস টাইমে হাওড়া ও শিয়ালদায় আনুমানিক ২০০টি লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রেল৷ পরিস্থিতি অনুযায়ী পরে আরও ট্রেন বাড়ানো হতে পারে৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷
সোমবার নবান্নে রেল- রাজ্য বৈঠক হয়৷ তারপর আজ ফের নবান্নে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন রেল আধিকারিকরা৷ সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে অফিস টাইমে হাওড়া ও শিয়ালদা মিলিয়ে প্রায় ২০০টি লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রেল৷ যদিও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকালের রেল- রাজ্য বৈঠকে হতে পারে৷
আরও জানা গিয়েছে, আপাতত যে লোকাল ট্রেনগুলো চলবে, তা সব স্টেশনে দাঁড়াবে না৷ অর্থাৎ বেশির ভাগ লোকালই গ্যালোপিং হবে৷ কোন স্টেশনে কোন ট্রেন কখন দাঁড়াবে, তা রেলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে৷ এছাড়া নতুন টাইম টেবিলও জানানো হবে৷
তবে করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে লোকালে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তারও একটা রূপরেখা তৈরি করে হয়েছে৷ আজ বুধবার রাজ্যের সঙ্গে রেলের বৈঠকের আগে, রেল আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বলে খবর৷
সোমবার নবান্নে রেল- রাজ্য বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল,দ্রুত লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রাজ্য৷ তাঁর আগে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে কীভাবে লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব সেই বিষয়ে একটা রূপরেখা তৈরি রাজ্যকে জানাবে রেল৷
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রথমে তারা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন দিয়ে পরিশেষা শুরু করতে চায়৷ পরে তা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে৷ আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল চালানোর ভাবনা রেলের৷ ট্রেনের হকার নিয়ে ওইদিন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি৷
এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব,তা আগামী ৫ নভেম্বরের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে৷ ওই দিন বিকালে ফের নবান্নে রেল- রাজ্য বৈঠক বসবে৷
সোমবারের বৈঠকে ছিলেন পূর্ব রেলের এজিএম, হাওড়া-শিয়ালদার ডিআরএম। খড়গপুরের ডিআরএম সহ পদস্থ আধিকারিকরা৷