কাটমানি ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে৷ কাটমানি ফেরত চাওয়ার অপরাধে বিপ্রভাত সরকার নামে বিজেপির এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের কাউন্সিলর বাপ্পা সিং-এর বিরুদ্ধে।
যদিও কাটমানি নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ওই কাউন্সিলর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বংশীহারী থানার পুলিশ।
বুনিয়াদপুর পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের শেরপুর এলাকার ঘটনা। অভিযোগ কাউন্সিলর ও তাঁর লোকেরা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নাম করে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা তুলেছেন। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় কাউন্সিলরের লোকেরা সোমবার রাতে রাস্তায় ধরে বিপ্রভাত সরকারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজিত বাসিন্দারা কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বাড়ি তৈরি করার জন্য দেওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরতের দাবিও জানান তাঁরা।
এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পা সিং বলেন, তাঁর সম্বন্ধে বাজে কথা রটানো হচ্ছে। তিনি কারোর কাছ থেকে একটা পয়সাও নেননি। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলেও পালটা অভিযোগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদের সদস্য বিশ্বনাথ পাহানের বাড়িতে হামলা করেছিল সাধারণ মানুষ। বালুরঘাট শহরের বেলতলাপার্ক এলাকায় মিলনতীর্থ পাড়ায় তাঁর ভাড়া বাড়িতে বেশ কিছু মানুষ গিয়ে চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ দেখায়। টাকা ফেরত না পেয়ে বাইরে থেকে ইটপাথর ছুড়ে বাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ চৌধুরী রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে লক্ষাধিক করে টাকা নিয়েছিলেন। বহুদিন হয়ে গেলেও চাকরির নিয়োগপত্র তো দূর টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না তিনি। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না বিশ্বনাথ পাহান। বাড়িতে শুধু স্ত্রী একাই ছিলেন। হামলার ঘটনায় তিনি চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েন।