তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে আবারও বিক্ষোভের আগুন জ্বলল চন্দননগরে। বৃহস্পতিবার কালীঘাট থেকে চন্দননগর পুর নিগমের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাধিক ওয়ার্ডে দেখা গেল বিক্ষোভের ছবি। ৬ নম্বরের পর এবার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড। মিছিল করে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা।
এ দিন সকালে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় দলীয় কর্মীদের একাংশ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।আবার শুক্রবার সন্ধেয় দেখা গেল একই ছবি। বিক্ষোভ চলল ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীরা এ দিন মিছিল করে ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। স্লোাগন ওঠে সীমা রায় চৌধুরীকে চিনিনা, প্রার্থী হিসেবে চাইনা। দলের প্রার্থী বদল করতে হবে বলে দাবি জানান কর্মীরা।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভকারীদের দাবি, যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁকে বিগত ছয়- সাত বছরে কখনও পার্টি অফিসে দেখা যায়নি। তিনি ঘরেই বসে থাকেন। বিগত বিধানসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে সিপিআইএম কে হারিয়ে ৭৪০ ভোটে জেতে তৃণমূল। এবার আরও বেশি ভোটে জেতার আশা করেছিলেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় বিদায়ী কয়েকজন কাউন্সিলরের নাম বাদ পড়েছে। আগামী সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতেও শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বামেরাও তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। শুক্রবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু বাকি দুই দলের ক্ষেত্রে কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভ এখনও দেখা যায়নি, যেমনটা শাসকদলে দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারী এক কর্মী বলেন, ‘আমরা এখানে সারা বছর মানুষের জন্য কাজ করি, আর এমন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে, যাঁকে পার্টি অফিসেই দেখা যায় না। সারা বছর ঘরে বসে থাকে।’
শুক্রবার একই ছবি দেখা গিয়েছে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তাঁকে প্রার্থী করায় বিক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হোক। এই দাবিতে শুক্রবার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের অফিসের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কর্মীরা।
এই ওয়ার্ডে জয় পেতে হলে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করতে হবে বলে দাবি জানান তাঁরা। চন্দননগরের তৃণমূলের প্রার্থী অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এই অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমর্থকদের একাংশের দাবি মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওদিন কোনও কাজে পাওয়া যায়না, উপরন্তু বিজেপির হয়ে আগের বিধানসভায় কাজ করেছে এই দলীয় প্রার্থী। সেই কারণেই এখানকার মানুষ চায়না মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে লড়ুক। সেই কারণেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।