আর দু’জন নয়, এবার থেকে চারজন যাত্রী নিয়েই ছুটতে পারবে অটো, টাক্সি সহ ক্যাব (Auto, Taxi and Cab)। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে আনলক ফেজ ওয়ানে (Unlock Phase 1) নয়া নির্দেশিকা পরিবহন দপ্তরের। নির্দেশিকায় ট্যাক্সি-অটোর কথা উল্লেখ না করলেও সেখানে জানানো হয়েছে, যে কোনও গাড়িতে যতজনের সিট তত ক্যাপাসিটি ততজনই বসতে পারবে। সেই হিসাবে অটো ও ট্যাক্সিতে চারযাত্রীরই বসার কথা। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন যতগুলি সিট ততজন যাত্রী বসতে পারবেন বাসে। তখনই অটো চালকরা বলেছিলেন, বাসে যদি বসা যায় তবে অটোতে কেন নয়! তারপরই রাজ্য পরিবহন দপ্তরের এই নির্দেশিকা। এর ফলে আগের ভাড়াতেই এবার যাত্রী নিতে হবে অটো এবং ট্যাক্সি চালকদের। দিন কয়েক ধরে দু’জন যাত্রীর অজুহাতে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকছিলেন অটোচালকরা। তা আর হবে না।
এদিকে রাস্তায় বাস নামানোর ক্ষেত্রে সুর নরম করেছে বেসরকারি বাস মালিকরা। মঙ্গলবার পরিবহন ভবনে একাধিক দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। তারপরই জানান, সরকার বেশ কিছু দাবি ন্যায্য বলেছে, তাই তাঁরাও আলোচনা করে দেখছেন যত দ্রুত সম্ভব বাস নামানো যায়।
তবে গত দুদিনের মতো এদিনও রাস্তায় বেরিয়ে বাসের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বাসের জন্য কেউ লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিন ঘণ্টা, কেউ বা আরও বেশি। আবার কেউ কেউ মাঝ স্টপেজে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠতে না পেরে আরও সমস্যায় পড়েছেন। ধর্মতলা থেকে এম জি রোড, ডানলপ থেকে গড়িয়াহাট সর্বত্রই ছিল বাস ধরার জন্য মানুষের হাহকার। চড়া রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কেউ কেউ তো রীতিমতো অসুস্থতা বোধ করেছেন। দু-একটি সংগঠনের বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তা ছিল মেরেকেটে শ’দেড়েক। ফলে মানুষের হয়রানি ছিল সত্যিই চোখে পড়ার মতো।