জেএনইউতে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বামী বিবেকানন্দের সুবিশাল মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি আশা প্রকাশ করব জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি প্রত্যেককে অনুপ্রাণিত করবে এবং শক্তি জোগাবে। স্বামী বিবেকানন্দ প্রত্যেকের মধ্যেই সাহস এবং সহমর্মিতা প্রত্যক্ষ করতে চাইতেন। আশা প্রকাশ করব এই মূর্তি সেই বোধকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে। উপনিবেশ কালে যখন ভারত শোষিত হয়ে চলেছিল তখন অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, এই শতাব্দী যদি তোমাদের (পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী দেশকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে) হয়। তবে পরবর্তী শতাব্দী হবে ভারতের। এখন এটা আমাদের কর্তব্য স্বামীজীর এই বাণীকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলা। এদিন আবেগঘন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আমি আশা প্রকাশ করবো স্বামী বিবেকানন্দের এই সুবিশাল মূর্তি প্রত্যেকের মধ্যে ভক্তি এবং দেশের প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসাকে জাগ্রত করে তুলবে। স্বামীজি তাঁর জীবন দিয়ে যে বাণী দিতে চেয়েছিলেন সেই বাণীর সর্বোচ্চ ভাবনা এটি। সবাইকে একাত্মবোধ অনুপ্রাণিত করুক। স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা চিন্তার উপর আলোকপাত করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হবে যে তা সকলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সবদিক থেকে তাদেরকে আত্মনির্ভর করে তুলবে। একাত্মবোধ হচ্ছে ভারতের নতুন শিক্ষানীতির মূল ভিত্তি। কিন্তু ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবথেকে নেতিবাচক দিক হচ্ছে নিজের একান্ত নিজস্ব মতাদর্শকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে দেশের স্বার্থকে পিছিয়ে দেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.