লোকসভা নির্বাচনের মহাজয় হাসিল করার পর নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্বিতিয়াবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন দেশ তথা বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্ক দেশ গুলোকে আমন্ত্রণ জানানোর পর, এবার কেন্দ্রের মোদী সরকার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে BIMSTEC দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত আশ্চর্যজনক এর সাথে সাথে এক বিশেষ রণনীতিও মানা হচ্ছে। ভারত এখন ছোট দেশগুলোকে সাথে নিয়ে চলতে চাইছে। আর তাঁদের উপর পরা চীনের প্রভাবও কমাতে চাইছে।
নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এবার দেশ বিদেশের অনেক নেতারা উপস্থিত থাকবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে BIMSTEC প্রধান দেশ যেমন বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল আর ভুটানকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এই দেশ গুলো ভারতের প্রতিবেশী আর বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত। এই দেশ গুলো ছোট হলেও, এদের উপযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এই দেশ গুলো ছাড়া এবার মায়ানমারের প্রধানমন্ত্রী, চেক প্রজাতন্ত্র এর প্রধানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই দুই দেশ এবার প্রবাসী ভারতীয় দিবসে প্রধান অতিথি রুপে যুক্ত হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। ওনার যায়গায় বাংলাদেশের মন্ত্রী মোজাম্মেল হোক উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, এই দেশ গুলোতে চীন অনেক দিন ধরেই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। চীন শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দিকে নজর লাগিয়ে বসে আছে। আরেকদিকে ভুটানের পাশে ডোকালাম নিয়েও ভারত আর চীনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়ে রয়েছে। তাছাড়াও নেপালের সাথেও চীনের ঘনিষ্ঠতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এইজন্য দেশের নতুন সরকার হওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী আবারও এই ছোট দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক ঠিক করে চীনকেও কড়া বার্তা দিতে চলেছে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন, তখন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে আমন্ত্রণ করে সবাইকে অবাক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে এমন এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেটা পাকিস্তানের উপর থেকে ভারতের সম্পূর্ণ বিশ্বাস চলে গেছে। সম্প্রতি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর দুই দেশের সম্পর্কে চরম তিক্ততা এসেছে।
ইমরান খান নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, এমনকি উনি দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করার জন্য আর কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার ওনাকে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই করার উপদেশ জানিয়েছেন। যদিও এবার নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাকেন নি।