খালি জয় থেকে নয়, শিক্ষা নিতে হবে হার থেকেও। বাংলার ভোটের বিপর্যয়ের পর দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে মোদির এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল হয়নি বিজেপির। তাতে দলের একাংশ রীতিমতো মুষড়ে পড়েছেন। সোমবার তাঁদেরই চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবারই দিল্লিতে বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনায় বসেছিল বিজেপি (BJP)। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদকদের সেই বৈঠকেই মোদি বলেন, “জয় হোক বা হার। সেটা থেকে শিক্ষা নিন এবং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন।” আসলে যে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল গেরুয়া শিবির পর্যালোচনা করছে, সেই রাজ্যগুলিতে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র অসমে সরকার গড়েছে বিজেপি। সেখানেও ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিরোধীরা। পুদুচেরিতে এনডিএ সরকার গড়লেও বিজেপি সেখানে ছোট জোটসঙ্গী। তামিলনাড়ুতে জোটসঙ্গী এআইএডিএমকেকে (AIADMK) সঙ্গে নিয়ে ডুবেছে গেরুয়া শিবির। কেরলেও খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। মোদি-শাহরা বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলার নির্বাচনে। পূর্ণশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর পরও বাংলায় মমতার (Mamata Banerjee) দুর্গে দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সব নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র, বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
তবে, এই পাঁচ রাজ্যের পরাজয়ের থেকেও বিজেপিকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধাক্কা। নিজেদের গড়েই এবার গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে বিরোধীরা। যা সামাল দিতে আসরে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। আসলে লোকসভার নিরিখে উত্তরপ্রদেশ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ভালমতো জানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও। সেকারণেই, দলকে ‘পেপ-টক’ দিলেন তিনি। আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের মহাগুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। তার পর ভোট রয়েছে গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশেও। ঘটনাচক্রে আগামী বছর যে ৭ রাজ্যে ভোট হবে, তার মধ্যে পাঞ্জাব ছাড়া বাকি সবকটিতেই ক্ষমতায় বিজেপি। গেরুয়া শিবির এই ভোটকে চব্বিশের সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে।