এবারের টেট পরীক্ষার সব খাতা স্ক্যান করে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রাইমারি বোর্ড। আগের টেট পরীক্ষার খাতা নষ্ট করা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নের মুখ পড়তে হয় প্রাইমারি বোর্ডকে। অভিযোগ ওঠে সাদা খাতা আড়াল করতেই খাতা নষ্ট করা হয়েছে। যদিও বোর্ডের দাবি ছিল নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাতা বাতিল করা নিয়ম বিরুদ্ধ নয়। তবে এবার যাতে আর কোনও প্রশ্ন না ওঠে তাই সব খাতা স্ক্যান করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার পথে হাঁটছে বোর্ড। এর ফলে এখন থেকে ১০০ বছর পরেও যেকোনও সময় খাতা দেখতে পাওয়া যাবে।
এর আগের টেট পরীক্ষা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। সেখানে বহু ক্ষেত্রেই পাওয়া যাচ্ছে না খাতা। একদল আন্দোলনকারীর বক্তব্য নির্দিষ্টভাবে খাতা পাওয়া যাচ্ছে না তার মূল কারণ খাতাগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কারণ সাদা খাতার ভিত্তিতে অনেকে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন।
এখানে অবস্থায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। প্রতিটি খাতা নির্দিষ্টভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন যাতে আগামীদিনে এই ধরনের কোনও অভিযোগ না উঠতে পারে। সেই কারণেই প্রাইমারি বোর্ডের তরফ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ১১ ডিসেম্বরের টেট পরীক্ষার খাতা স্ক্যান করে ডিজিটালি সংরক্ষণ করে রাখা হবে।
অন্যদিকে হাইকোর্টে বুধবার জোড়া মামলার শুনানি। ওএমআর শিট নিয়ে মামলা। গাজিয়াবাদে উদ্ধার হয় নবম এবং দশমের নিয়গের ওএমআর শিট। বেঁচে নেওয়া হয় ৪০টি ওএমআর শিট এবং এর সঙ্গে মেলানো হয় কমিশনের তথ্য। বৈঠক করেন কমিশন, সিবিআই এবং আইনজীবীরা। জানা যায় ৪৯টি শিটেই রদবদল হয়েছে নম্বর। বুধবার আদালতে বক্তব্য জানাবেন এই ৪০ জন।
অন্যদিকে গ্রুপ ডি নিয়োগেও মামলা হয় ওএমআর শিট নিয়ে। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্কে পাওয়া যায় ২৮২৩টি শিট। নমুমা হিসেবে তার থেকে বেছে নেওয়া হয় ১০০টি। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয় বৈঠক। জানা গিয়েছে এই ১০০ টি ওএমআর শিটেই নম্বর বদলানোর প্রমাণ মেলে। এই ১০০ জনের বেশিরভাগই বর্তমানে কর্মরত। এইদুটি মামলারই শুনানি হবে বুধবার।