সামনে উৎসবের মরসুম, তার আগে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল আমজনতা। ক্রমবর্ধমান ভোজ্য তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের শুল্ক আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্র। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কমানো হল আমদানি শুল্ক আর এর ফলে খুচরা বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে অপরিশোধিত তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২.৫% করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১০%। একইভাবে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং সাদা তেলের আমদানি শুল্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে রিফাইন্ড পাম তেল, সয়াবিন এবং সাদা তেলে শুল্ক ৩২.৭৫ শতাংশ হবে। ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। আমদানি শুল্ক কমার ফলে খুচরো বাজারে লিটার পিছু ভোজ্যতেলের দাম ৪-৫ টাকা কমতে পারে।
কিন্তু এর প্রভাবে আনুমানিক ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে অপরিশোধিত সাদা তেলের উপর শুল্কের পরিমান কমে হচ্ছে২৪.৭৫ শতাংশ। আমদানি শুল্কের কাটছাঁটের ফলে খুচরা বাজারের সাদা তেলের দাম ৪-৫ টাকা করে কমতে পারে।
ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভোজ্যতেলের আমদানিকারক দেশ। চাহিদার ৬০ শতাংশ পুরণ করতে হয় আমদানির মাধ্যমে। এর অর্থ ভারতে দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি একটি বড় ভূমিকা পালন করে। গত এক বছরে ভারতে লাগাতার ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।বপরিসংখ্যান বলছে, আগের বছরের তুলনায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ। এক বছর আগে যেখানে এক লিটার সরষের তেলের দাম ছিল ১২০ টাকা। এখন তা বেড়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। কিন্তু আমদানি শুল্ক কাটছাঁট হওয়ায় ভোজ্য তেলের দামের ভার কিছুটা লাঘব হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।