২০১৮-সালে ত্রিপুরার মাটিতে ইতিহাস গড়েছিল বিজেপি। শূন্য থেকে সরকার গড়েছিল গেরুয়া শিবির। তারপর থেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকার ত্রিপুরাকে বিশেষ নজরে রেখেছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে সার্বিক ভাবে গুরুত্ব দেওয়া—তা ধারাবাহিক ভাবেই চলছিল। তবে ৭ জুলাই ২০২১ মাইলফলক হয়ে থাকতে চলেছে ত্রিপুরার ইতিহাসে।
কেন্দ্রে মন্ত্রী হচ্ছেন পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। সন্ধে ছ’টায় তিনি রাইসিনা হিলসে শপথ নেবেন। এর আগে কেউ কখনও ত্রিপুরা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হননি। বামেদের আগে ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কেন্দ্রেও সেই সময়ে লাগাতার কংগ্রেস সরকার চলেছিল। তবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি থেকে কেউ কখনও কেন্দ্রে মন্ত্রী হননি।
প্রতিমা ভৌমিক দীর্ঘদিনের বিজেপি নেত্রী। ত্রিপুরায় যখন বিজেপির জামানত থাকত না সিপিএমের প্রতাপে তখন থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ছিলেন প্রতিমা। গত বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর আসনে মানিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে পরাস্ত হতে হয়েছিল তাঁকে।
তারপর উনিশের লোকসভায় পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। বামেদের হঠিয়ে এক বছর আগে আগরতলার মসনদ দখল করা গেরুয়া শিবির ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনেই জয় পায়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদী সরকার উত্তর-পূর্বের দিকে প্রথম থেকেই বিশেষ নজর দিয়েছিল। এর আগে অরুণাচলের মতো ছোট রাজ্য থেকে কিরেণ রিজিজুকে দিয়েছিল ক্রীড়ামন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর। এদিন দেখা গিয়েছে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালকেও মন্ত্রিসভায় নিচ্ছেন মোদী। তারপর জানা গেল শুধু অসম নয়। ত্রিপুরাও পাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।