১৫ হাজার হামলা, ৭ হাজার মহিলা নির্যাতিত! রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট জমা পড়ল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে, এনআইএ তদন্তের সুপারিশ

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ভোটের পর রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, এই হিংসার সাথে অনুপ্রবেশকারী ও সমাজবিরোধীরাও জড়িত ছিল। দিল্লির একটি সংগঠন, “কল ফর জাস্টিস” একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিশন রেড্ডির কাছে জমা দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ভোট পরবর্তী হিংসায় পশ্চিমবঙ্গে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। মোট ১৫ হাজার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৭ হাজার মহিলা নির্যাতিত হয়েছে। রাজ্যের ১৬টি জেলার ওই হিংসার ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতিতরা প্রাণভয়ে অনেকে রাজ্যের বাইরে পালিয়ে গেছে। অনেকে প্রতিবেশী রাজ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

এ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে ছিলেন সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, কেরলের প্রাক্তন মুখ্য সচিব আনন্দ বসু, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন ডিজি নির্মল কর, আইসিএসআই এর প্রাক্তন প্রধান নিশার আহমেদ, কর্ণাটকের প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এম মদন গোপাল।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, কল্যাণীর একটি হাসপাতালে গিয়ে তারা হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন। এমনকি যে ব্যক্তি এইসব আহত ব্যক্তিদের ঘরে কমিটির সদস্যদের নিয়ে গিয়েছিলেন তার ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সমাজবিরোধীরাই এই হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা আক্রান্ত তাদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়া হচ্ছে।

তবে রিপোর্টে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে তা হল ভোটের সময় রাজ্যে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। আর সেইসব বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীরাই এলাকার দুষ্কৃতীদের সহায়তায় এই হামলা চালিয়েছে।

রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে এই নিয়ে এনআইএর তদন্ত হওয়া উচিত। এছাড়াও একটি স্পেশল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করা উচিত। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্যের হিংসা নিয়ে বাংলার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি কমিটিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কমিটির তরফে স্বরাষ্ট্র সচিবকে মেইল করা হলেও তারা কোনও উত্তর পাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.