একদিকে গোয়ায় যেমন কংগ্রেসের ১০ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তেমনই আরেকদিকে কর্ণাটকে কংগ্রেস আর জেডিএস জোটের ১৪ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর কর্ণাটকের জোট সরকারের উপর আশঙ্কার বাদল ছেয়ে গেছে। আর এরই মধ্যে বঙ্গ বিজেপির বড় নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) এর এক বয়ানের পর পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) শনিবার দাবি করেন যে, বাংলার তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে ১০৭ জন বিধায়ক যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। মুকুল রায়ের এই বয়ানের পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সরকার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। মুকুল রায়ের এই বয়ানের পর এরাজ্যেও কর্ণাটক আর গোয়ার মতো রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে।
মুকুল রায় (Mukul Roy) একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেম ‘ বাংলার কমপক্ষে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূলের ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যুক্ত হতে চলেছেন। আমদের কাছে তাঁদের নামের লিস্ট আছে, আর তাঁরা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।” যদিও মুকুল রায় সরকার ভাঙার কথা অথবা কোন কোন বিধায়ক বিজেপিতে আসছেন সেটা স্পষ্ট করে বলেন নি।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে অভূতপূর্ব ফল করেছে। আর তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক, যাদের মধ্যে মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় এর নাম ও আছে। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন। এছাড়াও ৬০ জন কাউন্সিলরও বিজেপিতে যোগ দেন।
শুভ্রাংশু রায় ছাড়াও তৃণমূলের বিধায়ক সুনীল সিং, বিশ্বজিৎ দাস, মনিরুল ইসলাম, উইলসন চম্প্রামারি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও কংগ্রেসের তুষারকান্তি ভট্টাচার্য আর সিপিএম এর বিধায়ক দেবেন্দ্র রায় ও বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন।