আজ সকাল থেকেই গোটা রাজ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে ঘিরে বেলা বারোটা থেকে কলকাতা এবং হাওড়া জুড়ে রীতিমত তান্ডব চালাল মমতা সরকারের পুলিশ। এরজন্য নিন্দার ঝড় বইছে সব মহলেই। একটি রাজনৈতিক দল কোনো নির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে গেলে রাজ্যের শাসক দল যেভাবে অগণতান্ত্রিক উপায়ে তাদেরকে আটকাতে ব্যারিকেড, লাঠিচার্জ, বোমা, জলকামান ব্যবহার করল তাতে বাংলাতে গণতন্ত্র কতটা আছে সে নিয়ে সন্দিহান ওয়াকিবহাল মহল। তাদের বক্তব্য, বিরোধিতা থাকতেই পারে কিন্তু এইভাবে পুলিশ দিয়ে রীতিমতো শারীরিক অত্যাচার করে কোনো দলের কণ্ঠরোধ করাটা কি উচিত ছিল?
পুলিশ জলকামান থেকে আজ বেগুনি রংয়ের জল বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়েছে। এই জলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো আছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির সকলে এবং এর বিরুদ্ধে এবার কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানানো হবে বলে জানালেন বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য।
দক্ষিণের এই তরুণ বিজেপি সাংসদ কলকাতায় এসেছিলেন যুব মোর্চার মিছিলকে নেতৃত্ব দিতে। সেখানেই তিনি রাজ্যের হালহকিকত বোঝার চেষ্টা করেন এবং তার স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, এই রাজ্যে কোন গণতন্ত্র নেই। পুলিশের স্প্রে করা এই নীল রঙের জলের ঘায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম কোন বিক্ষোভ কর্মসূচি সামলাতে আজ রঙিন জল স্প্রে করল পুলিশ। এর আগে দিল্লি বিক্ষোভ সামলাতে রঙিন স্প্রে করা হয়েছিল পুলিশের তরফ থেকে। বাংলাদেশের ঢাকাতে একবার এরকম রঙিন জল স্প্রে করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তবে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এটাই প্রথমবার যখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে নীল রঙের জল ছুঁড়লো জলকামান থেকে।