কেমন আছেন মুকুলপত্নী? ফোন করে খোঁজ নিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

মুকুল রায়ের স্ত্রীয়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এবার ফোন করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ফোন করেন তিনি।জানতে চান, মুকুল রায়ের স্ত্রী কেমন আছেন, চিকিৎসা কেমন চলছে। এই ফোনালাপকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপাতত কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই রয়েছেন মুকুল রায়। এদিকে করোনায় আক্রান্ত তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা বেসরকারি এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত জটিল হচ্ছে। এদিন কৃষ্ণাদেবীর খোঁজ নিতেই ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে প্রায় ২ মিনিট কথা হয়। এদিন মোদি মুকুল রায়ের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন বলেও সূত্রের খবর।


এই ফোনালাপের পরই উঠছে প্রশ্ন। অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাতের পরই দলীয় নেতার পাশে থাকার কথা মনে পড়ল বিজেপি নেতৃত্বের? নাকি ঘর ভাঙার আশঙ্কায় ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির? যদিও সে কথা মানতে নারাজ বিজেপি শিবির। তাঁদের কথা, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার সংকটের সময় পাশে থাকার বার্তা দিতেই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার সন্ধেয় মুকুলপত্নী কৃষ্ণা রায়কে দেখতে বাইপাসের হাসপাতালে আসেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনো দলের সহযোদ্ধার এই ব্যবহারে ‘আপ্লুত’ মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর পাশে থাকার কৌশলী বার্তাও দিয়েছেন অভিষেক। এর পরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে তাঁর সঙ্গে বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশুর দেখা হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। অভিষেকের পর দিলীপ ঘোষের হাসপাতালে আসাকে অনেকেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর চেষ্টা বলে কটাক্ষ করছেন। এরপর তাঁকে ফোন করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।


গত ১৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে মুকুল রায়ের স্ত্রী। শারীরিক অবস্থাও জটিল। রয়েছেন একমো সাপোর্টে। অথচ গত ১৫ দিন হাসপাতাল চত্বরে কোনও বিজেপি নেতা-নেত্রীকে দেখা যায়নি বলেই খবর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছোটেন দিলীপবাবু। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ফোন করে খোঁজখবর নিলেন মোদিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.