নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে সোমবার বাংলায় ঢুকবে কিষাণ রেল

দেশ জুড়ে চলা কৃষক বিক্ষোভের মাঝেই ১০০ তম কিষাণ রেলের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হবে। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত হবে ওই ট্রেনের যাত্রা পথ। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় এই বিশেষ ট্রেনের ফ্ল্যাগ অফ করবেন মোদী।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এই কিষাণ রেলে একাধিক পণ্য থাকবে। বহন করা হবে সবজি। ট্রেনে থাকবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, লংকা, পেঁয়াজের মত গুরুত্বপূর্ণ শাকসব্জি। থাকবে কলা, বেদানা, কমলালেবু, আপেল, আঙুরের মত ফল। এই ট্রেনে পণ্য ওঠা নামা করানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধানিষেধ আরোপ করা হয়নি।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যতখুশি পরিমাণে সব্জি বা ফল এই ট্রেনে তোলা যাবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ফল ও শাকসবজি পরিবহণের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারি মাসেই এই কিষাণ রেল চালু করার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানিয়ে ছিলেন কৃষিপণ্য পরিবহনে পিপিপি মডেলে কিষাণ রেল প্রকল্প চালু করবে কেন্দ্র। রেলপথে এবার দুধ, মাংস, মাছ ইত্যাদি নিয়ে যাওয়ার জন্য চালু হবে কিষাণ রেল প্রকল্প।
আর্থিক ক্ষেত্রে একাধিক ঘোষণার পাশাপাশি কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কৃষকদের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়ন করাই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য বলে জানান নির্মলা সীতারমন। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করাই কেন্দ্রীয় সরকারের মূল লক্ষ্য বলে এদিন জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
সোমবার ১০০ তম কিষাণ রেল চালানো হবে। দেশে প্রথম কিষাণ রেল পরিষেবার সূচনা হয় ২০২০ সালের ৭ই অগাষ্ট। দেভলালি থেকে দানাপুর পর্যন্ত এই ট্রেন চলে। পরে ট্রেনটির গন্তব্য মজফফরপুর করা হয়। এই ট্রেন চালু হওয়ায় উপকৃত হয়েছিলেন কৃষকরা। পরে সপ্তাহে তিনদিন চালানো হয় কিষাণ রেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.