দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে যখন চলছে তৃতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন, নরেন্দ্র মোদী তখন জমিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। বাংলার জেলায় জেলায় তাঁর সভা ঘিরে যে জনসমুদ্র দেখা যায়, মঙ্গলবারও তার খুব একটা ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক কচকচানির মাঝেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভায় এক অন্য ছবি দেখল কোচবিহার।
রোজকার মতোই কোচবিহারের জনসভায় এদিন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আচমকাই তাঁর সভায় উপস্থিত জনতার মধ্যে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা। তাঁকে দেখতে পেয়ে এক মুহূর্ত দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই ভাষণ থামিয়ে বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন দর্শকাসনে বসে ছিলেন ওই বৃদ্ধা। হঠাৎই দেখা যায় মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন তিনি। এই ঘটনা চোখে পড়তেই নিজের ভাষণ মাঝপথে থামিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত চিকিৎসকদের ওই বৃদ্ধাকে সাহায্য করার নির্দেশ দেন।
মাইকের মধ্যেই সভায় উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার সঙ্গে যে ডাক্তাররা আছেন, দয়া করে ব্যাপারটা দেখুন। মাতাজিকে জল-টল দিন। ওনার কথা একটু ভাবুন।” কিছুক্ষণ থেমে তিনি আরও বলেন, “আমার টিমের ডাক্তাররা এক্ষুনি ওখানে পৌঁছোন।”
এখানেই কিন্তু শেষ নয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত চিকিৎসকরা যথাস্থানে পৌঁছোচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের ভাষণ থামিয়ে রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বৃদ্ধার কাছে পৌঁছে গেলে আবার যথারীতি বক্তব্য রাখতে শুরু করেন তিনি। সূত্রের খবর, গরমে ডিহাইড্রেশনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কোচবিহারের সভায় উপস্থিত ওই বৃদ্ধা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি ফের সুস্থ হয়ে ওঠেন।
দলীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থামিয়ে জনগণকে সাহায্য করার নজির কিন্তু এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার তাঁকে একই কাজ করতে দেখা গেছে। দিন কয়েক আগেই আরেক সভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাঁর কাছেও পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসকদের দলকে।