আজ অর্থাৎ সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়ে দিলেন এবার সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র। ২১ জুন সোমবার থেকে ১৮ উর্ধ্বরাও একেবারে বিনামূল্যে টিকা পাবে। রাজ্যগুলিকেও আর প্রতিষেধক কিনতে হবে না। কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনে সরবরাহ করবে রাজ্যকে।
দারিদ্র, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, সকলকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যে ব্যক্তি ফ্রিতে ভ্যাকসিন নিতে চাননা তাদের জন্যও আলাদা ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। ভ্যাকসিনের ২৫ শতাংশ যাতে বেসরকারি হাসপাতাল পেতে পারে সে ব্যবস্থাও জারি থাকবে। এক্ষেত্রে এক ডোজের জন্য সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে বেসরকারি হাসপাতাল।
রাজ্যগুলিকেও টিকাকরণের আংশিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিও তাদের দায়িত্ব গুরুত্বের সঙ্গে পালন করছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, মিশন ইন্দ্রধনুষের মাধ্যমে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাকরণ করা যাবে। আরও তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। তাই এবিষয়ে কেন্দ্র যে বেশ সক্রিয় তা বলা যেতেই পারে। নাকের মাধ্যমেও যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় সেবিষয়েও গবেষণা চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এই ভ্যাকসিন বাজারে এলে বেশ সুবিধা হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বিশ্বে এমন মহামারী কেউ দেখেনি। তাকে ঠেকাতে সর্বোতভাবে চেষ্টা চলছে। কোভিড হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে টেস্টিং ল্যাব।
যে সকল মানুষ করোনার থাবায় নিজের আপনজনকে হারিয়েছে। সেই সমস্ত পরিবারকেও সমবেদনা জানান তিনি।
শিশুদের টিকাকরণ নিয়েও তিনি বার্তা দেন। বলেন, শিশুদের জন্য দুটি ডোজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
অক্সিজেন ইস্যুতেও এদিন মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ভারতের ইতিহাসে এত বেশি মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রয়োজন আগে হয়নি। তবে এই বিপত্তিকেও সামলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে ১০০ শতাংশ তরল অক্সিজেন তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে।
জরুরি ওষুধের যাতে ঘাটতি না হয়, তার জন্য জরুরি ওষুধ তৈরি কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে বারবার করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের কথা উঠে এসেছে। এই ভয়ঙ্কর মহামারির বিরুদ্ধে যে দেশবাসীকে জয়ী হতেই হবে।