সামনে উত্তরপ্রদেশের ভোট। তার উপর দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হাত ছেড়েছেন। জাতীয় স্তরে বিজেপির ভাবমূর্তিও যে খানিক টলে যায়নি, তা নয়। তাই মুকুল ঝরার পরেই দিল্লিতে দেখা গেল জরুরি বৈঠক। রইলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির কী রণকৌশল হবে, তাই এই বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, আগামী দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও বড়সড় রদবদল আসতে চলেছে। এদিন তা নিয়েও আলোচনা করেন বিজেপির তিন হেভিওয়েট। শুক্র সন্ধ্যার আলোচনায় মুকুল রায়ের কথা যে একেবারে ওঠেনি তা অবিশ্বাস্য।
SuranaFashion
সাম্প্রতিক অতীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় কোনও রদবদল করা হয়নি। কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার বিজেপি সরকার গড়ার পর থেকে অনেকেই তাই আশায় রয়েছেন। রদবদলের ভাবনা বেশ কিছুদিন ধরেই শীর্ষ নেতৃত্বের মাথায় ঘুরছে বলে জানিয়েছে বিজেপি সূত্র। শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছু নতুন মুখকে উঠিয়ে আনা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন অনেকেই।
নতুন মুখ হিসেবে কারা কারা জায়গা করে নিতে পারেন কেন্দ্রে? সূত্রের খবর, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নাম এ ব্যাপারে প্রথমেই উঠে আসে। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
এছাড়া কেন্দ্রে জায়গা হতে পারে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর। তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে বলেই খবর। এছাড়া দায়িত্ব পেতে পারেন মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছেন দিন দুয়েক আগে। গিয়েছেন বাংলা বিজেপির তিন সাংসদও। মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে বাংলাকে যে একেবারে ব্রাত্য করা হবে না, তার একটা ইঙ্গিতও দেখতে পাচ্ছেন পর্যবেক্ষক মহল।