মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারী অজিতকুমার প্রসাদ CAG তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। ওনার অভিযোগ অনুযায়ী, এই প্রকল্পে কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে! সঙ্গে হয়েছে একাধিক দুর্নীতিও।
মামলাকারী অজিতকুমার প্রসাদের দাবি অনুযায়ী, রাজ্যে ভোট ঘোষণার পর নির্বাচনী আচরণবিধিও লাগু হয়ে গিয়েছে। আর এরপরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কাজ চলছে। এটা সরাসরি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ। তিনি আরও জানান, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ ছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় সহ একাধিক দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই কারণে তিনি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এবং CAG তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
রাজ্য ভোট ঘোষণার আগে ‘দুয়ারে সরকার” কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, এবার আর কারোর সরকারের কাছে যেতে হবে না। সরকার সবার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে। তিনি এও বলছিলেন যে, রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানিয়ে দেওয়া হবে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পে।
ওনার ঘোষণার পর রাজ্যের প্রতিটি জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ঘোষণা হয়। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড বানাতে পড়ে হাজার হাজার মানুষের লাইন। এই প্রকল্পে বেশ সাড়াও পায় রাজ্য সরকার। কিন্তু এরপরেই ওঠে রাজ্যের হাসপাতাল আর নার্সিং হোমগুলোর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। অনেক জায়গায় দেখা যায় যে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা স্বত্বেও রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে তাঁরা। এমনকি এই কারণে অনেক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে।
এর আগে বিজেপি তথা রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলগুলো স্বাস্থ্যসাথীতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। আর নির্বাচনের আগে সেই স্বাস্থ্যসাথীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা শাসক দল আর সরকারের সমস্যা বাড়াতে চলেছে।