শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে যেতেই হচ্ছে। কটাক্ষ করেছেন মুকুল রায়। মুকুলের বক্তব্য, নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না মমতা, রাজ্যের দেনা পাওনার হিসাব যখন হয় তখন যান না, যখন মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক হয় তখনও মমতা যান না। তবে হঠাৎ কেন যেতে হচ্ছে তা রাজবাসী সন্দেহের চোখে দেখছে। তবে মুকুলের বক্তব্য, সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাইতেই পারেন।
কলকাতা এবং বিধাননগরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের উপর থেকে রক্ষাকবজ তুলে নিয়েছে আদালত। যেকোনো মুহূর্তেই গ্রেফতার হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ পুলিশকর্তা রাজীব। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বুধবার দেখা করবেন মমতা। পুরো বিষয়টিকে কেমন দেখছে রাজ্য বিজেপি?
বিজেপি নেতা মুকুল রায় আগেই বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণ শানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কি কারণে দেখা করতে চাইছেন এটা তো রাজনৈতিক দল হিসাবে ভারতীয় জনতা পার্টির বলা সম্ভব নয় বলতেও চায়না। এটা ভারতবর্ষের সংবিধানের পরম্পরা। ফেডারেল স্ট্রাকচার।
মঙ্গলবার মুকুল বলেছেন, তদন্তের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করলে তা অপরাধ। সারদা মামলায় সোমেন মিত্র, রবীন দেবকে ডেকেছিল। তাকেও ডাকা হয়েছিল। তৃণমূলের নেতাদেরও ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত। মুকুল আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত।
তবে, রাজীব কুমারেট অন্তর্ধান এবং মোদী-মমতা কথা নিয়ে রাজনীতির পরিসর ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকান থেকে ফেসবুক – রাজীব কুমার, মমতা-মোদী মুখে মুখে ঘুরছে। বিজেপি যদিও বলছ, সংসদীয় গণতন্ত্রে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারর, তবে, জনগণের কূটকচালি নিয়েও মুকুল বলছন, মমতা-মোদীর সাক্ষাতের সময় নিয়ে মানুষে মনে নানান কথা উঁকিঝুঁকি মারছে।