বাংলায় ভোটে সেই লড়াই ক্রমশই জমজমাট হচ্ছে। গত সপ্তাহে ঝাড়গ্রামে অমিত শাহর একটি সভা বাতিল হয়েছিল। পরদিন পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার রোড শো-তে তেমন জমাটি ভিড় নজরে পড়েনি। সেই সব ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে তৃণমূল বলছিল, বিজেপির সভাতে লোকই হচ্ছে না। মানুষ তাদের গ্রহণ করতেই নারাজ।
তারই মোকাবিলায় রবিবাসরীয় সকালে হলদিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার একটু ফুটেজ ভাইরাল করে দিতে নামল বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এদিন একটি ট্যুইট করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, হলদিয়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিচ্ছেন, তা না শুনে পালে পালে লোক বেরিয়ে যাচ্ছে সভা ছেড়ে। আর তার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বাংলায় মমতার গ্রহণযোগ্যতা কমছে। মানুষকে আর ধরে রাখা যাচ্ছে না।
এমনিতেই বিজেপি প্রচার করছিল, তৃণমূলের সভায় ভয় দেখিয়ে আশা কর্মী, একশ দিনের মজুর, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে মাঠ ভরানোর চেষ্টা হচ্ছে। পরে আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যাতে দেখা যায় তৃণমূলের মন্ত্রী ভোটারদের উদ্দেশে হুমকি দিচ্ছেন, ভোট না দিলে জল বন্ধ করে দেব।
পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল যে হেতু প্রশান্ত কিশোরের মতো এক পেশাদারকে ভোট কৌশল সাজানোর ভার দিয়েছেন এবং তিনি পূর্ব কলকাতায় একটি বিশাল অফিস বানিয়ে তাঁর টিম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করছেন, তাই প্রাথমিক ন্যারেটিভ তৈরি করতে অনেকটাই সফল হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এ বার কাউন্টার ন্যারেটিভ প্রচার করতে নেমেছে বিজেপি। অর্থাৎ লড়াই এ বার সেয়ানে সেয়ানে।
রবিবাসরীয় দুপুরও দুই শিবিরের প্রচারে জমজমাট থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাঁকুড়ায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আর পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করবেন অমিত শাহ। বিপরীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই সঙ্গে প্রচার কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।