পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লিতে করোনা টিকার ঘাটতি রয়েছে। শনিবার, ১ মে থেকে দেশের ১৮ ঊর্ধদের করোনা টিকাকরণের (Vaccination) কাজ শুরু হবে বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি সরকার জানিয়ে দিয়েছে ৫ তারিখের আগে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়েস তাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের কাছে টিকা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই বলেছিলেন, ৫ মে রাজ্যে ১৮-র বেশি বয়েস যাদের তাদের টিকাকরণ হবে। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India) জানিয়ে দিয়েছে তাদের টিকা উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। তাই চাহিদার তুলনায় টিকা জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। সংস্থার কাছে ৪৫ বছরের বেশি যাদের বয়েস তাদের টিকাকরণের বিষয়টি গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে। তাই ১৮-র বেশি যাদের বয়েস, তারা জুলাই মাসের আগে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা পাবেন না।
এই মুহূর্তে ৪৫ বছরের বেশি যাদের বয়েস তাদের টিকাকরণের কাজ চলছে। তাও টিকায় টান পড়েছে। ৪৫ বছরের ঊর্ধে যারা তারাও প্রয়োজনে টিকা পাচ্ছেন না। পয়লা মে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি (Sputnik V) টিকা ভারতে পৌঁছেছে। এর পরেও রাজ্যের ও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা টিকায় ঘাটতি প্রকট হচ্ছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয় ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়েস তাদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। এর ফলেই সমস্যা আরও বেসেছে। এই পরিস্থিতিতে সেরাম ইনস্টিটিউট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাইরের দেশেও তারা টিকা উৎপাদন করবে।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে আগামী তিনদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস মিলেছে সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে । তবে এরই মধ্যে ভারতে চলে আসবে রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি । তবে সেসব দিয়ে এই মুহূর্তে ৪৫ ঊর্ধ্বদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ চলবে মাত্র । টিকার জোগান আরও না বাড়লে এখনই ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ সম্ভব নয় বলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানিয়ে সিদেওয়া হয়েছে । এখন প্রশ্ন উঠছে , তাহলে কি দেশে ভ্যাকসিন মজুতের পরিমাণ বিষয়ে কেন্দ্র কিছু জানত না? না হলে কেন ১ মে থেকে দেশের ১৮ বছর বয়সীদের টিকাদানের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র?