পার্থ চ্যাটার্জির বুকে ব্যথা । ইডি হানার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পার্থর সহায়কের বাড়ি থেকে ২০ কোটি নগদ উদ্ধার । ভবানীপুর থেকে পুলিশের সার্জেন্ট গিয়ে তিনজন ডাক্তারকে ডেকে আনল । টালিগঞ্জে ডাক্তার ছিল না ? বিশ্বাস করিনা । খোঁজ নিলে প্রমাণ হবে আসলে মমতার বার্তা ওই ডাক্তারদের দিয়ে পৌঁছেছে পার্থর কাছে । কিভাবে কোন পথে মোকাবিলা সব মেসেজ গেছে কালীঘাট থেকে, নিশ্চিত থাকুন ।
২০ কোটি শুনে অনেকে বিস্মিত হচ্ছেন । আমি বিস্মিত হচ্ছি এটা ভেবে এত কম কিকরে হল ? সংখ্যাটা ২০০ কোটি হলেও আমি বিস্মিত হতাম না । মফস্বলের এই চন্দন মণ্ডলরা মাসের পর মাস টাকা তুলে দিয়ে গেছেন । কখনো পার্থ, কখনো কার্তিক, কখনো কলকাতার বিভিন্ন পয়েন্টে । যেখান থেকে রাত গভীর হলে সেই টাকার একটা বড় অংশ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ভাইপোর ডেরায় যেত সুমিতের কাছে ।
সায়গল হোসেনকে দিয়ে অনুব্রত যেটা পাঠাতো সেটা আবার ডিরেক্ট । চার পাঁচটা স্লিক এটাচিতে আসতো নগদ । কখনো দশ বারোটা এটাচিতেও আসতো । প্রায় চার বছর সায়গলদের রাতের গন্তব্য ছিল কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে । এসব ইতিহাস শোনা তৃণমূলের এক দক্ষিণ কলকাতার বিক্ষুব্ধ নেতার মুখেই ।
এভাবেই চলছিল সাম্রাজ্য। একা অভিজিৎ গাঙ্গুলীর ছোট্ট টোকায় ভাঙা শুরু তাসের ঘর । শুধু টালিগঞ্জ নয়, ধরতে হবে নাটের গুরুকে । কোন ব্যবসা না করে কি করে ৭০ কোটির বাড়ি নির্মাণ হয় ? স্ত্রীর বিদেশের একাউন্টে কোটি কোটি টাকা যায় ? একটা পরিবারের সম্পদ বৃদ্ধি কয়েক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায় কিভাবে ? ভাই, ভাইপো, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইপোর স্ত্রী এক একজন টাটা বিড়লা গোয়েঙ্কা হয় কিভাবে ? কোন পথে ? সত্য সামনে আসুক । Disproportionate asset মামলায় ইডি এগোক আরও দ্রুত । সময়ের চাহিদা সেটাই। শুধু ডাকাত নয়, ডাকাতের সর্দারকে ধরতে হবে । পাঠাতে হবে শ্রীঘরে ।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)