মোদী হ্যা তো মুমকিন হ্যা, আবারও এই কথা শোনা গেল ফ্রান্সে। জি৭ সামিট নিয়ে তিনদিনের বিদেশ সফরে শুক্রবার ফ্রান্সে বসবাসকারি ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্রান্সের প্রেসিডেণ্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে দীর্ঘক্ষনের টানটান বৈঠকের পর প্রবাসী ভারতীয়দের তিনি ‘নতুন ভারতের’ আদর্শ নিয়ে উদ্বুদ্ধ করেন। পাশাপাশি বিজেপির রাম-ভক্তির কথাও বলতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী।
ইউনেসকো সদর দফতরে ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “বর্তমানে প্যারিসে রামের নাম গমগম করে। যতই হোক, ২০১৯ বাপু’র (মহাত্মা গান্ধী) ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। যদি আমি কখনও সুযোগ পেতাম তাহলে বাপুর পডতলে জীবন কাটাতাম।”
তাঁর বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেছেন যে, ভারত খুব দ্রুত গতিতে উন্নয়নের পথে হাটছে। যা সম্ভব হয়েছে ১৩০ কোটি মানুষের জন্য। কারণ তাঁরা গণতন্ত্রের মাধ্যমে মতামত জানিয়ে দেশের সরকারকে আরও শক্তিশালী করেছে।
ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। মোদী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও একটি ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষভাবে আগ্রহী তা বারবারই উঠে এসেছে তাঁদের কথোপকথনে।
পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে ভারতে হওয়া লোকসভা নির্বাচনে মানুষের মতামত নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশাবাদী যে, “আগের চেয়ে প্রবাসী ভারতীয়রা তাদের দেশের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করতে পারবে। এর আগেই তিনি বলেছিলেন বুক ভরা আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে ভারত নতুন যাত্রা শুরু করতে চলেছে।
সন্ত্রাস মোকাবিলা প্রসঙ্গে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেছেন। ফ্যাসিজম ও চরমপন্থী মনোভাবের মোকাবিলা ভারত ও ফ্রান্স উভয় এর আগে করেছে। যেহেতু আমাদের বন্ধুত্বের শিকড় শক্ত ও একে অপরের প্রতি সম্মানের প্রদর্শন করেছে তাই শুধুমাত্র সন্ত্রাস নয় গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যেকোন রকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতেই প্রস্তুত। যা ভারত-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে করে এসেছে ও ভবিষ্যতেও করবে। কারন এই দুই দেশই কার্যকারিতায় বিশ্বাসী।
উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী তিন তালাককে ‘অমানবিক’ বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রশংসায় চলতি বছরের লোকসভার সাফল্যকে তুলে ধরেছেন। সামগ্রিকভাবে ভারতে গেরুয়া উত্থানকে আরও বড়ভাবে পৌঁছে দিতে কোন খামতি রাখেননি বললেই ভালো।