লক্ষ্য কৃষকদের কাছে টানা৷ তাই ভোটের মুখে ফের রাজ্য সফরে এসে শস্যভিক্ষা করলেন সবিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। চাল-ডালের সঙ্গে কৃষকদের বাড়ি থেকে সবজিও ভিক্ষা হিসাবে গ্রহণ করেন নাড্ডা।
নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নাজেহাল মোদী সরকার। এমনই এক পরিস্থিতিতে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে রাজ্যে কৃষিপ্রধান জেলা পূর্ব বর্ধমান থেকেই কৃষকদের কাছে টানার নতুন কর্মসূচির সূচনা করল বিজেপি। কৃষক সুরক্ষা অভিযানে অংশ নিয়ে পাঁচটি পরিবার থেকে এক মুঠো করে ধান সংগ্রহ করলেন জে পি নাড্ডা।’ এরপর ‘বাড়ি বাড়ি মুষ্টি’ নামে এই কর্মসূচি চালু করবে বিজেপি৷
কী এই সহভোজ? বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা চাল-ডাল-সবজি দিয়ে রান্না করে দলের উদ্যোগে হবে পিকনিক। গ্রামের সকলে একদিন একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। সেটা কোথায় কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।
এদিন নাড্ডাকে উপহার দেওয়ার জন্য কৃষকদের মধ্যে থেকে কেউ আনেন ক্ষেতে ফলানো বিশাল কুমড়ো, কেউ আবার টাটকা ফুলকপি, লাউ৷ আবার কেউ ক্ষেত তুলে আনেন কচি পালন শাক, মুলো! জে পি নাড্ডার জন্য টাটকা ফসল উপহার হিসেবে নিয়ে আসা কৃষকরা জানান, জৈব সার দিয়ে এই ফসল ফলিয়েছেন তাঁরা৷ বিজেপি সভাপতিকে ক্ষেতের ফসল তুলে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের সমস্যার কথাও জানাতে চান কৃষকরা৷ ফসলের যথাযথ দাম না পাওয়া, অতিরিক্ত ফলন হলে ফসল বিক্রির অসুবিধার কথাও বিজেপি সভাপতিকে জানান সেই কৃষকরা৷
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের ৭৩ লক্ষ কৃষক পরিবারকে পাশে পেতে তৎপর বিজেপি। সেজন্য পিএম কিষাণ যোজনা থেকে রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে যেমন তারা প্রচার চালাচ্ছেন, তেমনই কৃষকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতে চায় তারা। কাটোয়ায় রাধাগোবিন্দের মন্দিরে পুজো দেন তিনি৷
এদিন কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামে যান বিজেপি সভাপতি৷ সেখানে কৃষক সুরক্ষা গ্রাম সভায় অংশ নেন তিনি৷ মূল উদ্দেশ্যই ছিল কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের সুফল কৃষকদের বোঝানো৷ রাজ্যের নীতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্য থেকেও যে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন, তাও তুলে ধরেন জে পি নাড্ডা৷