ইতিমধ্যে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে একদফা জেরা করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সলিসিটর জেনারেল আদালতে বললেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাঁকে পাঁচ দিন হেফাজতে রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।
এদিন বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ চিদম্বরমকে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন কংগ্রেসের তিন আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি ও বিবেক তনখা। এদিন চিদম্বরমকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখায়। আদালত চত্বরে যাতে কেউ বিক্ষোভ না দেখাতে পারে, সেজন্য সেখানে জলকামান তৈরি রাখা হয়েছে।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিবিআই আদালতে পৌঁছন চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরম ও তাঁদের ছেলে কার্তি। চিদম্বরমকে বিচারক অজয় কুমারের এজলাসে পেশ করা হয়। বুধবার রাতে তিনি নাটকীয় পরিস্থিতিতে গ্রেফতার হন। দক্ষিণ দিল্লিতে নিজের বাড়ি থেকে সিবিআই তাঁকে ধরে নিয়ে আসে। তাঁর নাগাল পাওয়ার জন্য পাঁচিল টপকে বাড়ি ঢোকেন সিবিআই অফিসাররা। রাতে তাঁকে সিবিআই বিল্ডিং-এর লক আপ স্যুইট থ্রি-তে রাখা হয়েছিল। ২০১১ সালে চিদম্বরম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখনই ওই অফিসের উদ্বোধন হয়। চিদম্বরম তখন সেই বিল্ডিং ঘুরে দেখেছিলেন। বুধবার রাতে তাঁকে যে লক আপে রাখা হয়েছিল, তাও দেখেছিলেন।
একটি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সেই পর্ব চলে তিন ঘণ্টা। অভিযোগ, ২০০৭ সালে চিদম্বরম যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন সব বিধি ভেঙে আইএনএক্স মিডিয়া নামে এক সংস্থাকে বিদেশি অর্থ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি কিকব্যাক পেয়েছিলেন। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড নামে এক সরকারি দফতরের মারফৎ আইএনএক্স মিডিয়া বিদেশি অর্থ পেয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে সেই দফতরের নানা ফাইল সম্পর্কে চিদম্বরমকে প্রশ্ন করা হয়।
আইএনএক্স মিডিয়ার দুই প্রতিষ্ঠাতা পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জি এখন শিনা বরা হত্যাকাণ্ডে জেলে আছেন। ইন্দ্রাণী রাজসাক্ষী হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে তাঁর সঙ্গে কার্তির মিটিং হয়েছিল। সিবিআইয়ের বক্তব্য, কিক ব্যাকের টাকায় কার্তি দেশে ও বিদেশে অনেক সম্পত্তি কিনেছেন।