কংগ্রেস-তৃণমূল সহ বাইশটি বিরোধী দলের নেতারা মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করে দাবি জানিয়েছিলেন, গণনার সময় আগে ভিভিপ্যাটের ভোট গুণতে হবে। পরে যেন ইভিএমের ভোট গোণা হয়।
কিন্তু বিরোধীদের সেই দাবি বুধবার খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের ওই দাবি নিয়ে এ দিন সকালে কমিশনের ফুল বেঞ্চ নয়াদিল্লিতে নির্বাচন সদনে বৈঠকে বসে। তার পর কমিশন সূত্রে বলা হয়, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আগে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাই বহাল থাকবে। আগে ইভিএম মেশিনের ভোট গোণা হবে। তা শেষ হয়ে গেলে লোকসভা আসনের মধ্যে থেকে এলোপাথাড়ি বেছে নেওয়া পাঁচটি বুথের ভিভিপ্যাটের ভোট গোণা হবে এবং তার ফলাফল সংশ্লিষ্ট ইভিএম মেশিনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
কমিশনের বক্তব্য, আগে ভিভিপ্যাট গোনা হলে গোটা গণনা প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়ে যাবে। তা ছাড়া ভিভিপ্যাট রাখা হয়েছে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের’ জন্য। ইভিএমে কোনও গরমিল হচ্ছে কিনা ধরার জন্য। আসল ভোট গণনা তো হবে ইভিএমের ভোট নিয়েই।
কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, ইভিএম মেশিনে কোনও গরমিল হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য আগে ভিভিপ্যাট গোণা হোক। তাতে গরমিল দেখা গেলে ওই আসনে সব ভিভিপ্যাট গণনা করে দেখতে হবে। গণনা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখার জন্য সেটাই সেরা উপায় হতে পারে।
বিরোধীদের এই দাবি যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়নি কমিশনের। বরং কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, অযথা প্রক্রিয়া জটিল করার দাবি করা হচ্ছে। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সময়েও আগে ইভিএমের ভোট গোণা হয়েছিল। পরে ভিভিপ্যাটের ভোট গোণা হয়। এবং সেখান কোনও গরমিল পাওয়া যায়নি।