ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা যেন প্রার্থী দিতে না পারে…’। শুধু তাই নয়, কোনওরকমে প্রার্থী দিলেও যাতে কোনও ভোট না পায় সেটা তৃণমূল কর্মীদের নিশ্চিত করতে বলেছেন দলের বিধায়ক।
শনিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার জগদীশপুরে একটি কর্মীসভায় যোগ দেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। সেখানে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘২০২৩ এ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে এই এলাকায় কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন প্রার্থী দিতে না পারে। যদি প্রার্থী দেয়ও, একটা ভোট যেন না পায়’। কর্মীদের সেদিকে নজর রাখারও নির্দেশ দেন ডোমজুড়ের বিধায়ক। স্বভাবতই তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক।
এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য, ‘২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেয়নি তৃণমূল। ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। এবারও তৃণমূল যে একই পথে হাঁটবে সেটা দলের বিধায়কের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার। অবাধ নির্বাচন হলে শাসকদলের যে হার নিশ্চিত তা তারা জানে। তাই একের পর এক নির্বাচনকে প্রহসনে পরিনত করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে তৃণমূল। মানুষ সবই দেখছে। সুযোগ পেলেই জবাব দেবে’।
ওই বিধায়কের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অবশ্য সাফাই দিয়েছে শাসকদল। তৃণমূলের এক মুখপাত্রের দাবি, ‘উনি ভুল কিছু বলেননি। সমস্ত রাজনৈতিক দলই চায় তাদের জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি হোক যেন বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে না পায়। পরিষেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করার কথা বলেছেন তিনি। তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।’ সব মিলিয়ে ওই বিধায়কের মন্তব্যে যে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে তা বলাই বাহুল্য