এরা তেলা মাথায় তেল দেয় !এরা চায় বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম রা বাধ্য হয়ে সেই দেশে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করুক! বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম দের মেয়েদের জোর করে নিকা হোক, সম্পত্তি দখল হোক, বাধ্য হলে বাঁচার জন্য এরা ইসলাম গ্রহণ করুক! আর যারা এ দেশে এখনো অবৈধ, তারা সরকারি দল এর নেতা ও অফিসার দের প্রচুর ঘুষ দিয়ে ইন্ডিয়ান ভোটার কার্ড পাক, যাতে ভয় দেখিয়ে এদের ভোট সারা জীবন বিরোধী দল গুলো ভোগ করতে পারে!

আপনি যদি মাধ্যমিকের জাল সার্টিফিকেট নিয়ে ba ma পিএইচডি করেন, প্রফেসর হন, আইন অনুযায়ী সব সার্টিফিকেট অবৈধ ও আপনার চাকুরী থাকবেনা! একই ভাবে যারা ঘুষ দিয়ে রেশন কার্ড ভোটার কার্ড বানিয়ে ইন্ডিয়ান হয়েছে, কংগ্রেসি বানানো আইন অনুযায়ী তারা অবৈধ! না বুঝলে কোনো ভালো উকিল কে জিজ্ঞাসা করুন! কাজেই যে সব জনপ্রতিনিধি অবৈধ ইন্ডিয়ান হয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছে, কংগ্রেসি বানানো আইন অনুযায়ী, তারাও বৈধ প্রতিনিধি নয়, যদিনা সরকার নতুন আইন করে এদের কে বৈধ করে! সেই কারণে ইন্ডিয়ান আর্মি র মেজর হয়ে দেশ সেবা করলেও যদি বিস্মিল্লায় গলদ থাকে, আপনি কংগ্রেসি আইন অনুযায়ী অবৈধ ও শাস্তি পেতে পারেন! মাথায় কি আইন ঢুকলো? কাটজু ঠিক বলে, ম্যাক্স ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট ধারী রা মূর্খ ও বোকা!এক সময় আমি যাদেকে বোকা xx বলতাম! এখন বলিনা! আম্বেদকর বা কংগ্রেস এর জনপ্রতিনিধি রা আসলেই জ্ঞানী ছিলোনা! থাকলে অনেক পূর্বেই সময় উপযোগী সংবিধান বা আইন বানাতো! এরা মানুষ কে প্রতিরিত করে গেছে! আর মিডিয়া ব্যবসায়ী রা নিজেদের আয় বাড়াতে ব্যস্ত, নতুন কোনো আইন হলে এরা সেই আইন টা বিনা পয়সায় প্রচার করেনা! ইন্ডিয়ান মিডিয়া র আসল মালিক কারা ?এ অনেকেই বলছে ম্যাক্স মিডিয়া আরব বা ইসলামিক দেশের বৈধ নিয়ন্ত্রণে! সত্য কি আমি জানিনা!

নতুন আইন প্রতিবেশী দেশের অমুসলিম দের কে, যেভাবেই যে এ দেশে এসে কাগজ করুক না কেন, কোথা থেকে কবে কেন এসেছে, সেই ইনফরমেশন নিয়ে, কোনো শাস্তি না দিয়ে, এদেশের পাকাপাকি নাগরিকত্ব দেবে! এতে অন্যদের সমস্যা কোথায় সেটাই কেহ বলছেনা!

আপনি কি কোনো দল বা সংগঠন কে দেখেছেন, যারা বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম দের উপর ধারাবাহিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া তে কখনো রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে? না করেনি! করলে ওই সব দেশের সরকার এর উপর চাপ পরতো , তারা অত্যাচার বন্ধ করতো, অত্যাচারী দের শাস্তি দিতো! ওই সব দেশের সরকার এর পলিসি বোঝা সহজ! অমুসলিম রা দেশ ছাড়লে তাদের সম্পত্তি দখল করা যাবে, দেশের জনসংখ্যা কমছে এবলে বিদেশ থেকে খয়রাত মিলবে! আর অত্যাচারে দেশ না ছাড়লে ওই দেশেই মুসলিম হয়ে থাকবে! নয়া (নও)মুসলিম! এ জন্য ওই সবজন্য দেশে সরকার বাজেটে টাকা বরাদ্দ করে! সেটা কি এই সব মূর্খ, না বুঝে আন্দোলন করে, মিডিয়া তে নাম উঠিয়ে নেতা হয়ে কামাবার ধান্ধা করা “উদার আন্দোলনকারী” রা জানে?

কত অমুসলিম ধর্ম স্থান ওই সব দেশে ভাঙা হয় জানেন কি?কোনো দিন প্রতিবাদ করেছেন? কেন করেন নি? তা হলে কোন নীতিতে প্যালেস্টাইন বা ইরাক নিয়ে রাস্তায় নামেন?আপনাদের দ্বিচারিতা আর কেন মানবে? পিউ research অনুয়ায়ী ২০৭০ এ বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি হয়ে যাবে। তার ফল কি হবে ভাবেন! কেন সারা বিশ্বের অমুসলিম জনগণ দিন দিন ইসলাম বা মুসলিম বিরোধী হচ্ছে? দোষ কি তাদের? কোনো দিন কি প্রশ্ন তুলেছেন কেন সৌদি আরবে পূজা করা মূর্তি বানানো নিষিদ্ধ?

যখন প্রতিবেশী দেশগুলো আস্তে আস্তে ওই দেশ গুলোকে ইসলামিক দেশ বানালো, এরা বা এদের বাপেরা তখন ঘরে বসে কি মদ গিলছিল?যে বাঙ্গাল রা বিরোধিতা করছে, তাদের কি নৈতিক অধিকার আছে এ দেশে থাকার? ১৯৪০ সালে বাংলদেশে প্রায় ৩৮% ও ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে প্রায় ২৩% হিন্দু ছিল! তারা মুসলিম দের অত্যাচারে দেশ না ছাড়লে কি আমাদের ছাড়তে হতো? এরাই বড় ক্রিমিনাল নয় কি? আজ ও বাংলদেশের যেখানে ২০% হিন্দু আছে, সেখানে হিন্দুরা তুলনামূলক ভালো আছে!

প্যালেস্টাইন থেকে ১৯৪৮ এ বিতাড়িত মুসলিম দের কি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিম দেশ নাগরিকত্ব দিয়েছে? না দেয়নি। এরা এখনো উদ্বাস্তু! ইন্ডিয়ার কংগ্রেস সরকার কেন UNO র রিফুজি কনভেশন এ সই দেয়নি? দিলে আমরা ইন্ডিয়া তে লিগ্যাল উদ্বাস্তু থাকতাম! ইন্ডিয়া বিশ্ব কে দেখতে পারতো, যে কত বিদেশী নাগরিক তাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে।আর তখন আলোড়ন সৃষ্টি হতো বিশ্বব্যাপী। যেভাবে প্যালেস্টাইন বা শ্রীলংকার তামিল রা বিদেশে গিয়ে শেল্টার পেয়েছে নাগরিকত্ব পেয়েছে, আমরা পেতাম। যেভাবে বাংলদেশ রোহিঙ্গা দের ভরণ পোষণ এর জন্য বিশ্ব থেকে আর্থিক সাহায্য নেয়, ইন্ডিয়া পেতো। নিয়মিত uno তে আলোচনা চলতো! কাজেই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, এই সমস্যার জন্য দায়ী কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দল গুলো! কোন মুখে কংগ্রেস বিরোধিতা করে?

এবার আসি ইন্ডিয়ান মুসলিম দের দ্বিচারিতা নিয়ে! ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হাওয়া সত্ত্বেও এরা পাকিস্তান যায়নি! এদের অনেকের মন পাকিস্তানে পরে থাকে ! এরা ইসলাম বিরোধী বলে জাতীয় সংগীত গাইতে চায়না! তা হলে এ দেশে না থেকে কেন মুসলিম দেশে যায়না?এরা কোনোদিন পাকিস্তান বাংলদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেনি! নতুন আইনে এদের কোনো সমস্যা নেই,এরা ইন্ডিয়ান থাকবে! কিন্তু যেহেতু প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলিম দের নাগরিকত্ব দেবেনা, তাই এদের আন্দোলন। এরা কি চায় মুসলিম জনসংখ্যা বাড়িয়ে ইন্ডিয়া কে গণতান্ত্রিক ভাবে ইসলামিক দেশ বানাতে? যেটা ইসলামের টার্গেট! এরা চায় বিশ্বের সব দেশ গুলোতে শরিয়তি আইন চালু করতে! যদি আপনাদের শরিয়তি আইন ভালো লাগে, আপনারা কেন মুসলিম দেশে চলে যাননা? ওই সব দেশের সংখ্যালঘুরা সেক্যুলার ইন্ডিয়া এসে সম্মানের সাথে বাঁচুক! আপনারাও সুখী হবেনা, অন্যরাও সুখী হবে! ইন্টারনেটে বাংলদেশী হুজুরদের ওয়াজ শুনলেই বুঝবেন, যে তারা মুসলিম দের পরামর্শ দিচ্ছে, যে যে সব অমুসলিম দেশে আছো, সন্তান বাড়িয়ে সেই দেশ ইসলামিক দেশ বানাও! বাংলদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এর মুসলিম দের কেন ইন্ডিয়া আশ্রয় দেবে?

পৃথিবীতে মুসলিম, খৃস্টান দেশের অভাব নেই! হিন্দুদের কেন ইহুদি মুসলিম , খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ মত একটা দেশ থাকবেনা? ইন্ডিয়া কিন্তু হিন্দু দেশ বানাতে চায়না! চায় প্রতিবেশী অমুসলিম দের আশ্রয় দিতে! এমন একটা দেশের নাম বোলিং, যে দেশে র জনসংখ্যা >৫০% মুসলিম কিন্তু সেক্যুলার! কোনো দেশ নেই!মুসলিম দের অঘোষিত নীতি হলো, <৫০% থাকা পর্যন্ত চুপ থাকো, তারপর শরিয়তি চালু করো ও বাকি অমুসলিম দের তাড়াও না হয় ইসলামে কনভার্ট করো!

মোদির আমলের সব কটা আইন হয়েছে ইন্ডিয়ান দের উপকারের জন্য! যারা বিরোধিতা করে, দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করছে, তারা কি করে দেশপ্রেমী হয়? পাকিস্তানে সেই কবে থেকে প্রত্যেক নাগরিক এর জন্য নাগরিকত্ব কার্ড আছে, আছে বাংলাদেশেও, কিন্তু ইন্ডিয়া তে নেই! কংগ্রেস জনগণ এর অনেক টাকা নষ্ট করে আধার ভোটার কার্ড বানিয়েছে, কিন্তু উন্নত দেশের মত প্রত্যেক নাগরিক এর জন্য একটা কার্ড বানায়নি, যা দিয়ে প্রমান হয়ে যে সে বৈধ নাগরিক! এ জন্য করেনি, যাতে দুর্নীতি চালু থাকে! সবার নাগরিকত্ব কার্ড থাকলে আর সব নাগরী ইনফরমেশন সেই কার্ড নম্বর এর সাথে যুক্ত থাকলে দুর্নীতি কমে যায়! সরকার এর খরচ কমে! মোদী সব কার্ড বাতিল করে একটা কার্ড বানাচ্ছে! আর সেই জন্য দরকার কে নাগরিক আর কে নয়, সেটা সঠিক জানা ও নতুন নাগরিক রেজিস্টার! মোদির করার রিফর্ম এর ফল আসতে ২০-২৫ বছর লাগবে! আসামের উদ্বাস্তু হিন্দুদের জন্য দায়ী কংগ্রেসি আইন, এটা জানেন তো?

কাজেই বিরোধিতা না করে, সহযোগিতা করুন, যাতে ইউনিফর্ম সিভিল আইন ও এক সন্তান ( মোদী করবে ২ সন্তান) আইন চালু হয়! এই সব আইন সঠিক ভাবে কার্যকরী হলেই, সমাজে দেশে শৃঙ্খলা আসবে! তারপর অর্থনীতির উন্নতির কথা ভাবে যাবে!দরকার Reservation নীতির রিফর্ম! বিকলাঙ্গ ও দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে বা অন্য বিশেষ ক্ষেতেই reservation দরকার! আর এডুকেশন ফ্রি হওয়া দরকার। সবার সমান সুযোগ থাকা দরকার! এ জন্য দরকার টাকা! আন্দোলন করলে দেশের অর্থনীতি নষ্ট হয়! কেন একদল ট্যাক্স এর টাকায় পরে আন্দোলন করবে আর অন্যরা বাপ মায়ের রক্ত জল করা টাকায় বা ঋণ এর টাকায় পড়বে ? সবার জন্য সমান সুযোগ দরকার! কেন জনগণের নামে ঋণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন দেয়া হবে আর তারপরেও ঘুষ খাবে? কেন বেতন কমিয়ে কর্মী নিয়োগ বাড়ানো হবেনা? বেতন কমিয়ে সেই টাকায় অন্যদের জন্য সুযোগ বাড়ানো হবেনা? চীন উন্নতি করেছে SEZ করে! আন্দোলন না থাকায়! ইন্ডিয়া কি করে উন্নতি করবে, যে দেশের জনগণ দেশপ্রেমী নয়!বিদেশীরা কেন ইন্ডিয়া বা বাংলায় ইনভেস্ট করবে? আর বেকার বা কমবে কি করে?

এই যে ব্যাঙ্ক এর টাকা নয়ছয় করছে, তা কংগ্রেসের জন্য, কংগ্রেসি আইন এর জন্য! এই সব আইন বিজেপি বানায়নি!

মোদিকে সুযোগ দিন! দামি দামি জামা কাপড় মোদী পরলেও, মোদী চোর নয়! মাগীবাজ নয়!মোদী দেশ কে ভালো বাসে , যা অন্য দলের কোনো নেতা করেনা ! আর বাকি রইলো গুজরাটি রা কেন বেশি সুবিধা পায়? আরে ভাই রিলায়েন্স কি বিজেপি এর আমলে উঠেছে? কংগ্রেস আমলেই বিখ্যাত হয়েছে! কারণ গুজরাটি মারাঠি সিন্ধি রা ব্যাবসায়ী জাত, এদের ব্যবসার জন্য লবি আছে, যা বাঙালি দের নেই! বাঙালি mp রা দিল্লি যায় আন্দোলন করে পেপারে নাম তোলার জন্য! এদের কোনো দূরদৃষ্টি নেই, তাই বাঙালি দের কোনো দূরদৃষ্টি নেই! গান্ধী প্যাটেল মোদী গুজরাটের সন্তান ! শ্রী কৃষ্ণ ও শেষ বয়স গুজরাটে কাটিয়েছে! হিন্দু হবার জন্য পাছায় লাথি খেয়ে ইন্ডিয়া তে এসে আশ্রয় নেয়া বাঙাল নেতা জ্যোতি বসু কে বাঙালিরাই প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি! সৎ সোমনাথ চাটার্জি ও নৃপেন বাবু এই বালখিল্য বামন পন্থী দের জন্য cpim ছেড়েছে!

বাঙালি আত্ম বিস্মৃত আত্মহনন কারী এক জাতি! যদি NRC CAA না হয়,ও মোদী ২ সন্তান আইন না করে, অংকের নিয়মে ২০৪৫ এ বাংলায় মুসলিম ভোটার বেশি হবে, ও বাংলা হবে বাংলাস্তান! তখন অমুসলিম হিসাবে কোন দেশে পালাবেন, সেটা এখন ঠিক করেই NRC CAA র বিরোধিতা করুন বা অবাঙালি বিরোধিতা করুন!

বিশ্ব ব্যাপী যেভাবে মন্দা শুরু হয়েছে, অনেক ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হবে! আপনিও সব হারাবেন! সরকার কে বাধ্য করুন ঋণ না করে দেশ চালাতে! এই ঋণ কে শোধ করবে কবে কিভাবে, সেই প্রশ্ন তুলুন! নিজের স্ট্যাটাস বাড়াতে আন্দোলন না করে দেশ কে ভালোবাসুন!

মৃণাল মজুমদার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.