মোদী সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে সারাদেশে অন্যান্য রাজ্যে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালু হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনো চালু হয়নি। এবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে অবিলম্বে “এক দেশ এক রেশন কার্ড” প্রকল্প চালু করার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে আর কোনো বাহানা শোনা হবে না বলেও জানিয়েছে আদালত।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই প্রকল্প চালু হলে গণবণ্টন ব্যবস্থায় রাজ্যের গুরুত্ব কমবে। সরাসরি কেন্দ্রের খাদ্যশস্য বিনামূল্যে পৌঁছবে গরিবের ঘরে। তাতে রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে সবাইকে খাদ্যশস্য দেওয়ার দাবি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে। সেই কারণেই এই প্রকল্প চালু করতে চায় না রাজ্য সরকার। কারণ রাজ্যের তৃণমূল সরকার বারবার দাবি করেছে মোদী সরকারের এই প্রকল্পের থেকে রাজ্যের খাদ্য সাথী প্রকল্প অনেক ভালো
এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে চিহ্নিত করার মতো কাজ পশ্চিমবঙ্গে চলছে। কিন্তু তা এখনো লাগু করা যায়নি। রাজ্যের অনেক রেশন দোকানেই ইলেকট্রনিক্স পয়েন্ট অফ সেল যন্ত্র বসেছে। এই যন্ত্রের রেশন কার্ডের আসল মালিক চাল গম নিতে এসেছেন কিনা তা চিহ্নিত করা যায়।
মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রায়ের কপি এখনো পর্যন্ত আমার হাতে আসেনি, আমি জানি না। নির্দেশের কপির দেখার পর এবিষয়ে কথা বলব।
পরিসংখ্যান বলছে দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি, অসম, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প এখনো চালু হয়নি। প্রকল্প চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার সহ দেশের যেকোনো প্রান্তের পরিযায়ী শ্রমিক দেশের অন্য যে কোনও রাজ্যে নিজের অংশের রেশন তুলতে পারবেন। এতে খাদ্য শস্য বন্টন প্রক্রিয়া আরো সহজ হয়ে যাবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা লাভবান হবেন।