লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় গেরুয়া ঝড়। এরপরেই শাসকদল ছেড়ে গেরুয়া নামাবলি গায়ে জড়িয়েছেন তৃণমূলের বহু নেতাই। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপিতে ৭৭ লাখেরও বেশি সদস্য যোগদান করেছেন।
গত কয়েকদিন আগে সেই সদস্যতা অভিযান শেষ হয়েছে। তবে এই অভিযান শেষ হলেও সংগঠনকে মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজেপির দিলীপ-মুকুলরা। আর সেই লক্ষ্যে বাংলায় এক কোটি সদস্য বিজেপিতে তৈরি করতে লড়াই করছেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সামনেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। আমাদের কর্মীরা খুবই উৎসাহের সঙ্গে কাজ করছে। এই রাজ্যে আমরা ১ কোটি সদস্য তৈরি করবোই। তবে তৃণমূলকে একুশে ক্ষমতায় আসার জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে। বিজেপি ২০২১ এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই সরকার গড়বে বলে মন্তব্য মেদিনীপুরের এই বিজেপি সাংসদের। মেদিনীপুরের সভা থেকে এহেন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। এই সভায় তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী সমর্থন বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপিতে ইতিমধ্যে ৭৭ লাখেরও বেশি সদস্য যোগদান করেছেন। দেখা গিয়েছে, সারা দেশে পশ্চিমবঙ্গেই সব থেকে বেশি সদস্য করতে পেরেছে বিজেপি।
জলপাইগুড়ি জেলা সদস্য সংখ্যায় সব থেকে প্রথম। অন্তত , ৫-৬ টি জেলা লক্ষ্য মাত্রার ৫০ শতাংশরও বেশি সদস্য করতে পেরেছে। বর্তমানে বিজেপির সক্রিয় সদস্য বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে সদস্য বৃদ্ধির কাজ এখানেই থামাতে চায় না বিজেপি। কারণ সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যকে সদস্যতা অভিযান ডিসেম্বর পর্যন্ত চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কেরল, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওডিশা, অসম, ত্রিপুরা এবং বেশ কিছু রাজ্যে চলবে।
শুধু দিলীপ ঘোষ নয়, বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা আগেই জানিয়েছিলেন, “যা ভাবা গিয়েছিল, যার থেকেও বেশি ভালো ফল হয়েছে।” অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সদস্যতা অভিযানকে তৃণমূল নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কার্যকর্তাদের মারধর করেছে, ভয় দেখিয়েছে। আরও ভালো হতে পারত।
বিজেপি সূত্রে খবর, পার্টি ৭৭ লাখে থেমে যেতে চাইছে না। রাহুল সিনহা বিলীন, “আমাদের লক্ষ্য ১ কোটি।” বিজেপির অন্তর্দলীয় নির্বাচনে নতুন সদস্যরা (২০ অগস্ট পর্যন্ত যারা সদস্য হয়েছেন,) তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।