ফের রামে কাটা। রাম নাম নিলে যেমন ভূত পালায়, তেমনই আজকাল রাম নাম নিলে তৃণমূল ক্ষেপে যাচ্ছে। তৃণমূলের মতে ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগান সাম্প্রদায়িক। এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) এর মতে ‘জয় শ্রী রাম” গালাগাল। এরজন্য রাজ্যে আপাতত রাম নাম নেওয়াই নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। যেই রাম নাম নিচ্ছে, হয় তাঁকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে, নাহলে মারধর করা হচ্ছে। ছাড়া হচ্ছে না নাবালকদেরও। যতই হোক রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার গুরু দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সেদিন মেদিনীপুরের পর বুধবার একই রকম ঘটনা ঘটে গেলো বহরমপুরে। তফাৎ ছিল, মেদিনীপুরে দিদির সামনে রাম না নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল তিন বিজেপি কর্মী। আর বহরমপুরে রাম নাম নিয়ে তৃণমূলের দাদাদের হাত মার খেতে হল এক নাবালককে। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালজানে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে।
সেখানে গিয়ে ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগান দেয় স্থানীয় তিনজন। পরে তাঁরা খেতে বসলে তাঁদের খাওয়ার টেবিল থেকে তুলে দেওয়া হয়। এমনকি অনুষ্ঠান বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধরও করা হয়। নিগৃহীত নাবালকের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, ‘আমি জয় শ্রী রাম বলেছিলাম। আমাকে মারধর করেছে ওঁরা।”
এই প্রসঙ্গে নিগৃহীত আরেক যুবক রানা স্বর্ণকার বলে, ‘ এক দাদার বিয়েতে আমাদের নিমন্ত্রণ ছিল। আমরা সেখানে গিয়ে জয় শ্রী রাম বলেছিলাম। আমদের ওঁরা খেতেও দেয়নি, খাওয়ার টেবিল থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের জঙ্গলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে নিত্য আর জয়ন্তরা। ওঁরা সবাই তৃণমূল করে।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ফেরিঘাট চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয় তাঁরা। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে বাঁচতে তৃণমূল কর্মী নিত্য আর জয়ন্তরা নৌকা করে পালিয়ে যায়। পরে বহরমপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।