পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বিজেপি নেতা খুনে জড়িত সন্দেহে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিস। বাকীদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।
শনিবার ভাইফোঁটার দিন রাতে বাড়ির কাছেই খুন হন ভগবানপুরের বিজেপি নেতা চন্দন মাইতি। প্রবল মারধর ও ধারাল অস্ত্রের কোপে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল তাপস দলপতি নামে একজনের নামে। সেই তাপসকেই খুনের তিন দিনের মাথায় গ্রেফতার করল পুলিস। তাপসকেই খুনের মূল মাথা বলে মনে করছে বিজেপি।
ঘটনার দিন নিহতের নিহতের আত্মীয় গোপাল মাইতি সংবাদমাধ্য়মে বলেন, ভাইফোঁটা ছিল। একজনের বাড়িতে খেতে গিয়েছিল চন্দন। রাত সাড়ে নটা-দশটা নাগাদ বুড়ির মঠের কাছে ওকে মারধর করে কুপিয়ে খুন করা হয়।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সদস্য দেবব্রত কর বলেন, আগেও মিঠুন করের নেতৃত্বে ওকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। চন্দন আমাদের দলের নেতা ছিলেন। মানুষের কাছে নামডাক ছিল। যে কোনও প্রয়োজন ও ছুটে যেত। মানুষের কাজ করত। এর ফলে ওর পরিচিতি বেড়েছিল। তাই ওকে না সরালে ওদের সংগঠনের ক্ষতি হয়ে যেত।
অন্যদিকে, তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, এইসব কাজকর্মের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই জড়িত নয়। ওদের পুরনো ও নতুন বিজেপির মধ্যে যে বিবাদ রয়েছে তার ফলেই হয়তো এটা হতে পারে। অন্য কোনও কারণ যদি থাকে তাহলে পুলিস-প্রশাসনকে বলব তা খুঁজে বের করতে।