নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপি কর্মীদের উপর ‘চটি পরা জিহাদিরা’ আক্রমণ করেছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযান করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের একটি দলীয় সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘নবান্ন অভিযানের দিন বহু চটি পরা লোকজন আক্রমণ চালিয়েছে। বহু জেহাদিদের নিয়ে এসেছে। কোনটা পুলিস, কোনটা বহিরাগত বোঝার উপায় নেই।’
এমনকি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী এও দাবি করেন যে, ‘এদের বিষয়ে আমি যা জানি, আর কেউ জানে না।’ একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘কেষ্ট আর পার্থকে ফাইভ স্টার বেনিফিট দিচ্ছে। এরপর দিল্লিতে যেতে হবে। তিহারে থাকতে হবে।’
নবান্ন অভিযান শেষে সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে ছাড়া পান শুভেন্দু অধিকারী। তখনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের ২০০ থেকে ২৫০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি’।
এই নবান্ন অভিযানের পরই পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে আইপিএসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই দাবিকে শিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বও। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগেন রবিশংকর প্রসাদ।