বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। আপাত ভাবে ১০টি জেলায় নাইট কার্ফু জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার এক বিবৃতি জারি করে ওডিশা সরকার জানিয়েছে সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
৫ই এপ্রিল থেকে ওডিশার ১০টি জেলায় নাইট কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ যাতে দ্রুত না ছড়াতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। ওডিশা সরকার জানিয়েছে নাইট কার্ফু জারি করা হবে সুন্দেরগড়, ঝাড়সুগুডা, সম্বলপুর, বড়গড়হ, বোলাঙ্গির, নুয়াপড়া, কালাহান্ডি, নোয়ারংপুর, কোরাপুট ও মালকানগিরি জেলায়।
শনিবার রাজ্য়ের মুখ্য সচিব এস সি মহাপাত্র এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই তথ্য দিয়েছেন। এই নিয়ম জারির ফলে প্রতিটি দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস, ও নাগরিকদের যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। রাত ১০টা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে ৮৯ হাজার ১২৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ হাজার ২০২ জন। দেশে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৩.৩৬ শতাংশ।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা মহারাষ্ট্রে। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে এবার লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র। খোদ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
এদিকে, এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন যে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের আরও বেশি লোককে টিকা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এবার ধীরে ধীরে অল্পবয়সীদের টিকাকরণ করতে হবে। যদিও তিনি জানিয়েছে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা অনুসারেই টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন যে, “ভারতবর্ষ অনেক বড় দেশ। আমরা যদি বলি কেন্দ্রের দ্বারা অনুমোদিত ভ্যাকসিন সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে দেওয়া যায় সেক্ষত্রে আরো প্রায় ১০ লক্ষ নাগরিককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হয়ে পড়বে। সেক্ষত্রে এত ডোজ পাওয়ার উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা অনুসারে প্রাপ্তবয়সীদের টিকাকরণ করতে হবে।”