বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে দুর্গাপুজোয় উৎসব করা নিয়ে মামলার শুনানি। করোনা আবহে উৎসব কি আদৌ করা উচিত, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বাংলায় দুর্গাপুজোয় অন্যান্য বছরের মতো ভীড় হলে করোনা সংক্রমণ যে বহুলাংশে বেড়ে যাবে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এই পরিস্থিতিতে উৎসব ও মানুষের উদ্দিপনা থামাতে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করা হয়েছে। সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ই অক্টোবর । আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জী এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, প্রত্যেকটি ক্লাবকে দুর্গাপুজো করার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু করোনা আবহে এভাবে জমায়েত করে দুর্গোৎসব করা যে অনুচিত, তা রাজ্য সরকারকে বুঝতে হবে।
এদিন আইনজীবী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইসিএমআরের পক্ষ থেকে একাধিক গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ কি আদৌ সচেতন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই ধরণের উৎসবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তিনি। সব্যসাচী চ্যাটার্জীর মতে বিধিনিষেধ আরোপ করার বদলে রাজ্য সরকার আরো বেশি উৎসাহ দিচ্ছে উৎসব পালনে। দেওয়া হচ্ছে আরও বেশি পরিমাণে অনুদান।
ওনামের পর যেভাবে কেরল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেই একই হাল হতে পারে বাংলারও। মহারাষ্ট্রেও গণেশ চতুর্থীর পর প্রবল হারে ছড়িয়ে ছিল সংক্রমণ। তাই পুজোর পরে যাতে একই পরিস্থিতি না হয়, সেই আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই সঙ্গে পুজোকমিটি গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে কোনও বড় ধরণের জমায়েত তৈরি না হতে পারে।
এর আগে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেয় চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। সংক্রমণের সুনামি আসতে চলেছে বলে উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, কোনও ভাবেই করোনাকে আর ভয় পাচ্ছেন না মানুষ। নয়তো এভাবে ভিড় করে পুজোর বাজার করতে পারতেন না। এই মুহুর্তে দুটি নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত। পুজো প্যান্ডালে ভিড় করা থেকে বিরত থাকতে হবে, দ্বিতীয়ত বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে মানুষকে সতর্ক করা হয়।