আক্রান্ত ডাক্তাররা৷ অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি৷ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পদক্ষেপ করল লালবাজার৷ সরিয়ে দেওয়া হল এনআরএস হাসপাতালের আউটপোস্টের ওসিকে৷
মঙ্গলবার রাতেই ওফিসার ইনচার্জ বনবিহারী দাসেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কমিশনার অনুজ শর্মা৷ তবেসেই দায়িত্ব এখনও কাউকে দেওয়া হয়নি বলে লালবাজর সূত্রের খবর৷
নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি হাসপাতালেই গড়ে তোলা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি৷ যার দায়িত্বে থাকতেন সংশ্লিষ্ট থানার ইন্সপেক্টর৷ যার আধীনে ওই ফাঁড়িতে কাজ করে সাব ইন্সপেক্টর, এএসআই ও কনস্টেবল৷ দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টরই ওসির কাজ করতেন ওই ফাঁড়িতে৷ এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এন্টালি থানার অন্তর্গত৷ ওই থানার ইন্সপেক্টর বনবিহারী দাস এনআরএস পুলিশ ফাঁড়ির ওসির কাজ সামলাতেন৷
ঘটনা ১০ জুন রাতের৷ রুগি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে এনআরএসে৷ অভিযোগ, মৃতের পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রথমে মারধর করে৷ পরে উভয়পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে৷ আক্রান্ত হন পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামের এক জুনিয়র ডাক্তার৷ মাথার করোটিতে গুরুতর চোট পায় সে৷ প্রতিবাদে ১১ জুন থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা৷ তাদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা৷ বন্ধ হয়ে যায় সরকারি সব হাসপাতালের আউটডোর৷ অচল হয়ে পড়ে সরাকরি চিকিৎসা পরিষেবা৷
সরকারি আবেদনেও কাজ হয়নি৷ উলটে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রতিবাদে মুখর হন সিনিয়র ডাক্তাররাও৷ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গণ ইস্তফা দিতে থাকেন সিনিয়র ডাক্তাররা৷ পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে৷ পরে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা৷ সেখানেই উঠে আসে হাসপাতালের আউটপোস্টের পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি৷ বৈঠকে হাজির কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কড়া পদক্ষপের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মঙ্গলবারই হাসপাতালের সুরক্ষায় একপ্রস্থ আলোচনা হয়৷ চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর৷