BREAKING: ২০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে মুক্ত এনআরএস-কাণ্ডের পাঁচ অভিযুক্ত

এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে নিগ্রহের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মিলল তাদের!

সোমবার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরে মুক্ত হয় এনআরএস-কাণ্ডের পাঁচ মূল অভিযুক্ত।

সূত্রের খবর, সোমবার, জেল হেফাজতের শেষ দিনে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয় ওই পাঁচ অভিযুক্তকে। শিয়ালদহ আদালতের বিচারক মামলার সমস্ত বিস্তারিত নথি দেখেশুনে জানিয়ে দেন, অভিযুক্ত ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে যে তদন্ত শুরু হয়েছিল, তাতে কোনও অগ্রগতি নেই এই ২০ দিনে। সেই কারণেই অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের জন্য আবেদন করেন পাঁচ অভিযুক্তের আইনজীবীরা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এর পরে দু’হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাদের জামিন দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।

গত ১০ জুন বিকেলে এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৮৪ বছর বয়সি রোগী মহম্মদ সঈদের। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ করে চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন রোগীর পরিজনেরা। এর মধ্যেই ট্রাক ভর্তি জনগণ এসে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের।

এই ঝামেলার মুখে পড়েই মাথায় সজোরে আঘাত লাগে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের। মাথার খুলি ফেটে যায় তাঁর। ক্ষোভে বিদ্রোহে ফেটে পড়েন গোটা রাজ্যের চিকিৎসকেরা। ১১ জুন গ্রেফতার করা হয়েছিল পাঁচ জনকে। তারাই জামিন পেয়ে গেল ২০ দিনের মধ্যে।

অন্য দিকে, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা কাঠগড়ায় তুলেছিলেন পুলিশকেও। অভিযোগ উঠেছিল, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল ঘটনার সময়ে। পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা আন্দোলনের প্রথম দিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুলিশের ভূমিকায় কোনও খামতি ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। সে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগ্মকমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে। তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার আগেই অবশ্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘটনার সময়ে এন্টালি থানার অ্যাডিশনাল ওসি দিলীপ পাল এবং এনআরএস আউটপোস্টের অফিসার-ইন-চার্জকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.