সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসি চালু হয়েছে। ঐ তালিকা থেকে যে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন তার অধিকাংশই হিন্দু। এই কারণে আমরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে আলোচনা চালাচ্ছি। যাতে ঐ সব মানুষের নাম ঢোকানো যায়।
শনিবার বাঁকুড়া রবীন্দ্র ভবনে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা বিষয়ক এক কর্মশালায় যোগ দিতে এসে একথা জানান কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরোধিতা করার বিষয়ে সাংবাদিকরা তুললে, তিনি কটাক্ষ করে বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও তো এনআরসির বিরোধিতা করছেন। বিরোধিতা করার অধিকার সকলের আছে বলে জানিয়ে তিনি সাফ জানান, পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে এনআরসি চালু হোক। অসমে তালিকা প্রকাশের আগে বাদ যাওয়া এদেশিয়দের নাম যোগ করা না হলে তারা আদালতে যেতে পারেন বলেও এদিন তিনি জানান।
এদিনের কর্মশালায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি জানান, বাঁকুড়া জেলায় কেউ ‘ফুড পার্ক’ তৈরী করতে চাইলে তাঁর দফতর সর্বোত ভাবে সাহায্য করবে। মেগা ফুড পার্কের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি ও মিনি ফুড পার্ক তৈরীর ক্ষেত্রে ২৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে৷ এবিষয়ে ব্যাংকের সাহায্য প্রয়োজন আর সেই বার্তা দিতেই এদিনের কর্মশালায় নাবার্ড, স্টেট ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর মন্ত্রকের মূল লক্ষ্য হল যে অঞ্চলে যে ধরণের শাক, সব্জী, ফল, মূল উৎপাদিত হয় সেই ধরণের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সেখান যাতে গড়ে ওঠে। পাশাপাশি তিনি মনে করান, এই কাজে রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। বাঁকুড়া সহ সারা রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।