সামান্য বচসাকে কেন্দ্র করে হিন্দু পাড়ার ওপর নেমে এলো জিহাদি আক্রমণ। জিহাদিদের হামলায় গ্রামের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা পড়লো। নির্বিচারে গ্রামের হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর চালানো হলো। পাশাপাশি হিন্দুদের দোকানও বাদ যায়নি এই হামলা থেকে। ঘটনা মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ (Harishchandrapur-1) ব্লকের শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের। গতকাল ১০ই মে, রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানিয়েছেন যে পরিকল্পনা করেই এই হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের পাশেই মুসলিম অধ্যুষিত মানকিবাড়ি গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান গতকাল সকালে একটি বচসাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তকাল সকালে কথায় কথায় এলাকার গ্রামীন চিকিৎসক ভবেশ দাস বলেন যে চারিদিকে মুসলিমদের জন্যই এত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এনিয়ে ভবেশ দাস এবং কয়েকজন মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে বচসা ও কথা কাটাকাটি হয়। তারপর যে যার বাড়ি চলে যান। কিন্তু সন্ধ্যা সাতটার সময় গ্রামের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে আশেপাশের গ্রামের আনুমানিক ১৫০০ মুসলমান দুষ্কৃতী গ্রামে হামলা চালায়। প্রথমে ভবেশ দাসের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আর একটি দল বেছে বেছে বাজারের হিন্দু মালিকানাধীন দোকানগুলো ভাঙচুর করে। দুষ্কৃতীদের হামলা থেকে বাদ যায়নি গ্রামের মন্দিরও। দুষ্কৃতীরা শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। গ্রামের আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়। দুষ্কৃতীদের হাতে লাথি-সোটা, ধারালো অস্ত্র ছিল। নিজেদের বাঁচাতে হিন্দু বাসিন্দারা বাড়ির ভিতরে ঢুকে থেকে কোনোরকমে নিজেদের বাঁচান। এই হামলা কিছুক্ষন চলার পর ওই দুষ্কৃতীরা চলে যায়। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো দুষ্কৃতীর গ্রেপ্তারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।