মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেও রবিশঙ্কর প্রসাদ ও প্রকাশ জাভড়েকরকে বিজেপির সংগঠনে কোনও পদে বসানো হতে পারে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই দুই সদ্য প্রাক্তন প্রবীণ মন্ত্রীকে বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতি বা অন্য কোনও পদ দেওয়া হতে পারে।
মন্ত্রিসভা ও মন্ত্রী পরিষদে রদবদল ও সম্প্রসারণের পরে বিজেপির সংগঠনেও এ বার রদবদল করতে হবে। কারণ, ভূপেন্দ্র যাদবের মতো সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতারা মন্ত্রিসভায় চলে গিয়েছেন। আবার রবিশঙ্কর, জাভড়েকরের মতো প্রায় এক ডজন নেতা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ গিয়েছেন। তাঁদের কোনও পদ দেওয়া হলেও বাস্তবে কতখানি দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিজেপি নেতারা মনে করছেন, সবাইকে না হলেও কয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, দেবেন্দ্র ফডণবীসের মতো কয়েকজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও আধ ডজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সংগঠনে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকেও তাঁর নিজের রাজ্য দিল্লিতে কোনও দায়িত্বে দেখা যাতে পারে।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা বি এল সন্তোষ ও দলের জাতীয় সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপির সদর দফতরে আলাদা করে নড্ডা জাতীয় সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিজেপি সূত্রের মতে, সংগঠনের একেবারে শীর্ষ স্তরে বড় রকমের রদবদল হতে চলেছে। বিজেপির সংসদীয় বোর্ড, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি ও কর্মসমিতিতে নতুন মুখ দেখা যাতে পারে। কিছু রাজ্যেও সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সেখানে রাজ্য বিজেপিতে বড় রকমের বদল হবে। ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে সেখানে মন্ত্রিসভার রদবদল অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে বলেও বিজেপি সূত্রের খবর।
বিজেপির সর্বোচ্চ স্তর, সংসদীয় বোর্ডে এখন পাঁচটি পদ ফাঁকা। বেঙ্কাইয়া নায়ডু উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন। অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, অনন্ত কুমার প্রয়াত। থাবর চন্দ গহলৌত কর্নাটকের রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছেন। ২০১৪-র পর থেকে সংসদীয় বোর্ডে কোনও বদল হয়নি। নির্মলা সীতারামনের মতো কোনও মহিলা নেত্রী ও গহলৌতের জায়গায় অন্য কোনও দলিত নেত্রীকে সংসদীয় বোর্ডে আনা হতে পারে। বোর্ডে এখন মোদী, নড্ডা, অমিত শাহ ছাড়া রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী, শিবরাজ সিংহ চৌহান রয়েছেন। সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে একসঙ্গে এত শূন্যপদ কখনও তৈরি হয়নি বলেই বিজেপি নেতাদের মত।