সপ্তম দফার ভোট সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে দেশে রাজনৈতিক আক্রমন বন্ধ হয়েছে। অন্যদিক পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার সামনে আসা বন্ধ হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন পুরো দেশে শান্তিপূর্ণ হলেও পশ্চিমবঙ্গের ছবি সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। পশ্চিমবঙ্গের স্থিতি কাশ্মীরের থেকেও অনেকগুন খারাপ ছিল। বিশেষ করে শেষ দফার নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এমন খবর সামনে এসেছিল যা খুবই চাঞ্চল্যকর। আসলে সপ্তম দফার আগে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারের বেশকিছু গ্রামকে হিন্দু শুন্য করার কাজ শুরু হয়েছিল।
যেহেতু অত্যাচার হিন্দুদের উপর হয়েছিল তাই বেশিরভাগ মিডিয়া খবরকে গোপন করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। তবে দু একটা মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে পুরো ঘটনা জনগণের সামনে চলে আসে। হিন্দুদের বাড়ি ঘর, দোকান পাট পুড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও এবং হিন্দুদের পলায়নের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। ডায়মন্ড হারবারের রেশ কাটতে না কাটতেই এখন ক্যানিং থেকে অশান্তি ও হিংসার খবর সামনে আসছে।
খবর অনুযায়ী, ক্যানিং এর জীবনতলা এলাকায় প্রচুর সংখ্যায় দুষ্কৃতী প্রবেশ করে গেছে এবং বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। অভিযোগ এই যে, কাশেম সরদার ও মনোজ বেপারীর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী ও বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। তৃণমূলের নেতৃত্বে এই সমস্থ কিছু চলছে বলে অভিযোগ। রাত হলেও গুন্ডা ব্রিগেড বেরিয়ে বিজেপি কর্মী ও বিজেপি সমর্থকদের উপর বাড়ি ঘরের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে খবর। সপ্তম দফার ভোট সম্পন হওয়ার পর সেখান থেকে গতকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে অত্যাচার।
গুন্ডাবাহিনীর বক্তব্য, বিজেপি করলে এলাকা ছাড়তে হবে। এলাকার বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, যারা হিন্দু এবং বিজেপি করে বাছাই করে তাদের উপরেই হামলা করা হচ্ছে। গতকাল থেকে প্রায় ৩০ জন বিজেপি কর্মী এলাকা ছাড়া হয়েছে। আজকের রাতেও গুন্ডাব্রিগেড হামলা চালাতে পারে বলে তাদের অভিযোগ।